বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম জনবহুল দেশ এবং বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ লাভজনক ব্যবসা অনেক বেশি ৷ বাংলাদেশ বর্তমানে 18 কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে ৷ এজন্য ভাবতে পারেন বাংলাদেশ কত ধরনের ব্যবসা করা যেতে পারে ৷ সঠিক নিয়মে এবং ধৈর্য ধরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে বাংলাদেশে অনেক লাভজনক ব্যবসা করা যেতে পারে৷
আমরা যখন কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করি, তখন মনে মনে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? প্রত্যেক ব্যাক্তি চায় ব্যবসার জন্য লাভজনক হয়ে ওঠে ৷ এজন্য সে নানাভাবে খোঁজাখুঁজি করে থাকে কোনটি তার জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা? সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি তা কিন্তু খুঁজে বের করা খুব কঠিন ৷ যদি না আপনিও কাজে সামান্য জ্ঞানও না থাকে ৷ এ ধরনের প্রশ্ন সচরাচর সবার মনে জেগে থাকে ,যে কোন ধরনের ব্যবসা করলে বেশি পরিমাণ মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে ৷ যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই আগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন ৷ আপনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত যদি ভুল হয় তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যা পোহাতে হবে ৷ এবং একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সময় এবং টাকা ইনভেস্ট করতে হবে যা আপনার জন্য লাভজনক নাও হতে পারে ৷ এইজন্য আপনাকে প্রথমেই দেখতে হবে যে কোন ব্যবসা টি আপনার জন্য উপযুক্ত ৷ যা থেকে আপনি ভালো পরিমাণ মুনাফা করতে পারবেন ৷
বর্তমানে সবথেকে লাভজনক ব্যবসা কোনটি অনেক সার্চ করে থাকে গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ৷ বাংলাদেশ বর্তমানে তরুণ যুবক-যুবতীরা কোম্পানি কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকে। নিজেই তার কর্মসংস্থান খুঁজে নিচ্ছে ৷ আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যে, বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশ সবথেকে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ? এবং এরকম অনেক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আমরা এর পোস্টার আলোচনা করব ৷ কিভাবে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় ,গ্রামে সবথেকে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এবং অন্যান্য অনেক প্রশ্ন উত্তর দিব ইনশাআল্লাহ ৷ আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি সব থেকে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন ৷ এবং আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত ব্যবসার আইডিয়া নির্ধারণ করতে পারবেন ৷
Table of Contents
ব্যবসার কত প্রকার হয়ে থাকে
বাংলাদেশে অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে ৷ কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন যে ব্যবসা কত প্রকার হতে পারে? আমরা অনেক সময় নানা ধরনের ব্যবসা করি কিন্তু ব্যবসার ভালোভাবে প্রকারভেদ জানি না ৷ যার ফলে অনেক সময় আমরা ব্যবসার ক্ষতি করি এজন্য ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে যে ব্যবসা কত প্রকার ?
এখানে ব্যবসাকে অনেক ভাবে ভাগ করা যায় কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন কারণে এটিকে দুই ভাবে বিভক্ত করা যায় ৷ একটি হলো টাকার ভিত্তিতে ,আরেকটি হলো ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ৷ তাহলে চলুন জেনে নেই এর প্রকারভেদ গুলি :
টাকার ভিত্তিতে ব্যবসায় তিন প্রকার
1. বৃহৎ পুজিতে ব্যবসা
2. অল্প পুঁজিতে ব্যবসা
3. বিনা পুঁজিতে ব্যবসা
আবার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসায় তিন প্রকার ৷ এগুলো হলো :
1 .বড় ব্যবসা
2 .মাঝারি ব্যবসা
3 .ক্ষুদ্র ব্যবসা
Related Posts
বৃহৎ পুজিতে ব্যবসা করা উপায়
যখন বেশি মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করবেন তখন তাকে বৃহৎ পুঁজিতে ব্যবসা বলা হয় ৷ এ ধরনের ব্যবসায় প্রাথমিকভাবে প্রচুর মূলধন প্রয়োজন হয় ৷ নিম্নে হলেও 10 লাখ টাকার উপরে ৷ এগুলো মূলত বড় বড় ব্যক্তিরা করে থাকে কারণ তারা বড় কিছু আশা করেন ৷ তারা বড় বড় প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে এসব বৃহৎ পুজিতে ব্যবসা শুরু করে ৷ এই ধরনের ব্যবসায় প্রাথমিকভাবে মূলধন এবং সঠিক উপায় মার্কেটিং করলে৷ এবং আপনার প্রোডাক্ট যদি ভাল হয় তাহলে আপনি খুব ভালো পরিমাণে লাভ করতে পারবেন ৷ এটি বলা রাখে না বাংলাদেশে বর্তমানে নানা ধরনের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে এজন্য আপনার প্রোডাক্ট ভালো মানের হলে আরো ভালো হয় ৷
অল্প পুজিতে ব্যবসায় করার উপায়
যে সমস্ত ব্যবসায় পাঁচ লাখ টাকার কম মূলধন নিয়ে শুরু করা হয় সেসব ব্যবসাকে অল্প পুঁজির ব্যবসা বলা হচ্ছে ৷ এসব ব্যবসায় আমরা সাধারণত আশেপাশে দেখে থেকেই বাজার ঘাট হতে দেখা যায় ৷ নানা ধরনের দোকানপাট এই ধরনের দোকানপাট গুলোকে বলা হচ্ছে ৷অল্প পুঁজির ব্যবসা এখানে আপনি একটি জিনিসের উপর ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ আপনি নানা ধরনের দোকান করতে পারেন যা আপনার পছন্দ হয় ৷
বিনা পুঁজির ব্যবসা
এই ধরনের ব্যবসা হয়তোবা আপনি কখনো ভাবেন নি ,কিন্তু বিনা টাকা টাকায় ব্যবসা করা যায় ৷ আমি উদাহরণের জন্য বলতে চাচ্ছি ,আপনি আপনার ফোন দিয়ে একটি ব্লগারে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করলেন ৷ ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করে পরবর্তীতে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন ৷ এরকম আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে ৷ যেমন : ইউটিউব ব্যবসা তাছাড়া আপনি হাঁস-মুরগী গৃহপালিত পশু ইত্যাদির ব্যবসা করতে পারেন ৷ যদি আপনি গ্রামাঞ্চলে বাস করে তাহলে আপনার অবশ্যই কোন গৃহপালিত পশু থাকতে পারে ৷ আপনি চাইলে যথাযথ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে আপনি ভালো ব্যবসা রূপান্তর করতে পারেন ৷ এজন্য সরকারি অনেক প্যাকেজ রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি বাস্তব শিক্ষা গ্রহণ করে কাজ করতে পারবেন ৷
আর ব্যবসার ধরন অনুযায়ী যে তিন প্রকার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ নিচে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা হলো :
বড় ব্যবসা কি
বড় ব্যবসা বলতে বোঝানো হয়েছে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে ৷ যেগুলো বিভিন্ন জিনিসের উপর একটা টপিকের উপর কাজ কর ৷ যেমন উদাহরণ দেওয়া যায়, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর বেক্সিমকো কোম্পানি ,নাভানা কোম্পানি, যমুনা এবং বসুন্ধরা কোম্পানি লিমিটেডের মতো ৷ এরা সবাই বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আপনি যদি এরকম কোন কোম্পানি খুলতে চান তাহলে এগুলোকে বলা হবে বড় কোম্পানি ৷ বড় কোম্পানি বা বড় ব্যবসায়ী করতে গেলে আপনাকে অনেক আগ থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে ৷ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করতে হবে ৷ আপনি কি ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করবেন তা আপনার উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু সচারাচার ইলেকট্রনিক্স এবং মেডিকেল ফার্নিচার এবং সিমেন্ট কারখানা কারখানা গুলো ভালো চলছে ৷ আপনি চাইলে বর্তমানে এই ধরনের কোন কোম্পানি তৈরি করতে পারেন ৷
মাঝারি ব্যবসা কি
মাঝারি সাইজের ব্যবসা করতে মাঝারি মূলধন নিয়ে একটি ভালো দোকান তৈরি করা স্বাভাবিক কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ৷ এটি যেকোন ধরনের হতে পারে ,এটি একান্ত আপনার ইচ্ছা ৷ বর্তমানে মাঝারি সাইজের ব্যবসার মধ্যে শোরুম ,মোবাইল বিক্রির দোকান ,সার বিক্রির দোকান এবং ডিম হাঁস মুরগি বিক্রয় দোকান করতে পারেন ৷ এগুলো হচ্ছে মাঝারি ব্যবসা বর্তমানে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে এগুলো ভালো কাজ চলছে ৷ আপনি চাইলে এ ধরনের ব্যবসা করতে পারেন ৷
ক্ষুদ্র ব্যবসা কি
আমরা অনেক সময় এরকম কথা শুনে থাকেন ক্ষুদ্র ব্যবসা বলতে আপনি বাসায় বসে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে ব্যবসা তৈরি করা ৷ যেমন আমরা গ্রামগঞ্জে দেখে থাকে যে তারা নানা ধরনের নকশী কাঁথা তৈরি করে ৷ সেগুলো বিক্রি করায় তাদের মূল কাজ তাছাড়া আরো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে ৷ যেমন তাঁত শিল্প রেশম শিল্প ছোটখাটো কুটির শিল্প ইত্যাদি ৷ বাংলাদেশ এ ধরনের ব্যবসা গুলি হল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ৷৷ আপনি যথাযথ জ্ঞান সহ বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এগুলোকে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ভালো একটি ব্যবসা তৈরি করতে পারেন৷ এগুলো গ্রামগঞ্জে ভালো হয়ে থাকে ৷
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার তালিকা ২০২৩
বর্তমানে বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসা তৈরি করার জন্য খুব ভালো একটি সময় যাচ্ছে ৷ বর্তমানে শিক্ষিত যুবকরা কোন কোম্পানির অধীনের নির্দিষ্ট বেতনে চাকরি না করে ছোট ছোট কিংবা মাঝারি সাইজের ব্যবসা করতে ভালোবাসে ৷ কারণ এভাবে খুব ভালো লাভবান হওয়া যায় ৷ বর্তমানের বাংলাদেশের মোট ব্যবসায়ীর বেশিরভাগেই হচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তা ৷ অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ভালো ধরনের আইডিয়া না পেয়ে হতাশ হয়ে যাচ্ছেন ৷ তাদের জন্য এই পোস্টে আমি বিশেষভাবে তৈরি করেছি ৷ আপনি নিচে যে 39 টি ভালো ভালো ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে ৷ সেগুলো থেকে একটি আপনার পছন্দমত চয়েজ করতে পারবেন ৷
যাই হোক আমরা উপরে এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনেছি এখন আসা যাক মূল বিষয়ে ৷ আরেকটি কথা আপনারা যখন ব্যবসা করতে যাবেন সবসময় ধৈর্যের সাথে কাজ করবেন ৷ কারণ প্রাথমিকভাবে আপনি সফল নাও হতে পারে কিন্তু আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ৷ তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন ৷ চলুন তাহলে শুরু করি ৷
1. ই-কমার্স ব্যবসা
ই কমার্স ব্যবসা আমি জানি যারা নিজেকে স্মার্ট বলে দাবি করে কিন্তু ই-কমার্স নামই শোনেননি এমন ব্যক্তি নেই বললেই চলে ৷ ই-কমার্স অর্থ হলো ইলেকট্রনিক্স কমার্স অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে কোন ডিজিটাল কিংবা অর্গানিক প্রডাক্ট ক্রয় বিক্রয় করা এক্ষেত্রে এটি ভার্চুয়াল কিংবা বাস্তব প্রডাক্ট হতে পারে ৷ এখানে সবথেকে মজার বিষয় হলো যে এখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট এর মত মার্কেটিং করতে পারবেন ৷
উদাহরণস্বরূপ ,আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন৷ তারপর অ্যামাজন ,আলীএক্সপ্রেস ,দারাজ এরকম অনলাইন সাইট গুলোর প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট করে আপনার সাইটে রাখলেন ৷ পরবর্তীতে আপনি সেই প্রোডাক্ট গুলোর প্রমোট করলেন ,কেউ সে প্রোডাক্টগুলো কিনলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন ৷ এরকমই ভাবে কাজ করে আফিলিয়েট মার্কেটিং ৷ এবং আপনি চাইলে ড্রপ শিপিং এর মত কাজগুলো করতে পারবেন ৷
ই-কমার্স বিজনেস বিশ্বের সবথেকে ভালো ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম ৷ কারণ বিশ্বের যত বড় লোক রয়েছে তারা কোন না কোন ভাবেই ই-কমার্স ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ৷ এবং Jeff Bezos যিনি বিশ্বের সবথেকে বড়লোক অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ৷ তাহলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে ই-কমার্স ব্যবসা টা মূলত সবথেকে ভালো ব্যবসার অন্যতম ৷
ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা
- খুব অল্প পরিমাণে মূলধন লাগে ৷
- বাসায় বসে কাজ করা যায় ৷
- অল্প সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে লাভ করা যায় ৷
- ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই ৷
2. মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা
বাংলাদেশের এ ধরনের ব্যবসা খুব লাভজনক হয়ে উঠেছে ৷ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার অন্যতম একটি হল রিচার্জ ও ব্যাংকিং ব্যবসা ৷ আপনি হাটে বাজারে ,শহরে কিংবা ইউনিভার্সিটি, কলেজে সামনে এ ধরনের ব্যবসা করতে পারেন ৷ এ ধরনের ব্যবসা প্রচুর পরিমানে আয় করা যায় ৷ আপনার ভালো কোন জায়গা সিলেক্ট করে সেখানে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন ৷
প্রতিদিন বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকার মোবাইল ব্যাংকিং হয়ে থাকে ৷ আপনি বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওর ক্যাশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং এম ক্যাশ এর মত মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর সাথে যুক্ত হতে পারেন ৷ তার সাথে সাথে আপনি একটি কম্পিউটার দিয়ে অনলাইন ভিত্তিক পরিষেবা দিতে পারেন ৷ বর্তমান যুগের চাহিদা রয়েছে এ ধরনের যদি আশেপাশে কম্পিটিশন কম থাকে তাহলে আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- নানা ধরনের অ্যাপ বের হয়েছে যার মাধ্যমে ইন্টারনেট প্যাকেজ গুলো বিক্রি করতে (খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে পোস্ট করা হবে) ৷
- একসাথে অনেক কাজ করলে ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ৷
- ভালো স্থানে ব্যবসা শুরু করতে পারলে ইনকাম দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ৷
- অনলাইন পরিষদের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন ৷
3. নতুন নতুন কৃষিকাজের ব্যবসা
গত দশকে মাল্টা, ড্রাগন ফল, আরাবিয়ান খেজুর ইত্যাদি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এই ফলগুলো মূলত বাইরের দেশ থেকে আনা হয়েছে ৷ বাংলাদেশ খুব চাহিদা সৃষ্টি করেছে আপনি যদি ভালো কোন জায়গায় এধরনের গাছ লাগিয়ে ব্যবসা করতে পারেন ৷ তাহলে ইনকাম আকাশচুম্বী পরিমাণে হবে তাছাড়া বাংলাদেশি মাশরুম চাষ ,মধু সংগ্রহ ইত্যাদি কাজগুলো খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ বিশেষ করে যদি ফলগুলো ফ্রেশ হয় তাহলে তো কথাই নেই ৷ এ ধরনের ব্যবসা করে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন ৷
আর যারা শহরাঞ্চলে বাস করেন তাদের জন্য একটি সিক্রেট টিপস হলো তারা ছাদ বাগান এর মাধ্যমে এই কাজগুলো করে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ৷ বর্তমানে গাছগুলোর আকার ছোট হওয়ায় মাল্টা এবং ড্রাগন ফল ভালো লাভজনক ব্যবসা হতে পারে ৷ আর যদি এত বড় স্থান না থাকে তাহলে আপনি মাশরুম ব্যবসার সাথে সংযুক্ত হতে পারেন ৷ বড় বড় পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে এবং ঢাকায় অবস্থিত রেস্তোরাঁগুলোতে এর চাহিদা তুমুল ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশ এই ফলগুলো নতুন হয় চাহিদা অনেক বেশি সুতরাং লাভ বেশি ৷
- মাশরুম এবং মধু সংগ্রহ করা অন্যতম একটি লাভজনক ব্যবসা ৷
- শহরাঞ্চলে এইরকম ব্যবসা করা যায় এবং গ্রামের তো অবশ্যই ৷
- স্বল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় ৷
4. পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসা
বাংলাদেশ 18 কোটি মানুষের জন্য দৈনিক আমিষের জন্য মাছ এবং বয়লার মুরগি সহ পাকিস্তানি মুরগি ইত্যাদির চাহিদা আকাশচুম্বী ৷ বাংলাদেশ প্রায় 60% মানুষ দৈনিক এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসের সাথে জড়িত ৷ বাংলাদেশ গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে তুমুল চাহিদা রয়েছে ৷ আপনি এ ধরনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা করে তুলতে পারেন ৷ বাংলাদেশ এ ধরনের ব্যবসা অবশ্যই লাভজনক হবে ৷
এই ধরনের ব্যবসার জন্য মাঝারি পরিমাণে মূলধন রাখতে হয় ৷ কিন্তু এ ধরনের ব্যবসায় সম্পূর্ণ পরিমাণে লাভ হওয়ায় অল্প সময়ে বড় ব্যবসায়ী হওয়া যায় ৷
সুবিধা
- চাহিদা আকাশচুম্বী থাকায় প্রচুর পরিমাণে আর হয় ৷
- যেকোনো পরিবেশে এ ধরনের ব্যবসা চাহিদা রয়েছে ৷
- ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন ৷
- ধৈর্য ধারণ করে তিন মাস থেকে ছয় মাস কাজ করলেই ওজন পরিমাপ ৷
কিভাবে পোল্ট্রি ফার্মে শিখব
পোল্ট্রি শেখার জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একটি কোর্স রয়েছে ৷যেগুলোকে পোল্ট্রির রিয়ারিং এন্ড ফার্মিং নামে পরিচিত এবং যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ৷ তাছাড়া যেকোন সমস্যার জন্য ইউটিউব মামা বসেই আছে ৷
5. ফটোগ্রাফি ব্যবসা
বাংলাদেশের সকল দর্শনীয় স্থানে ব্যক্তিরা নিজের ছবিগুলো ফ্রেমবন্দি করতে চান ৷ বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ,খাগড়াছড়ি ,সিলেট জেলাসমূহ অন্যান্য অনেক দর্শনীয় স্থানের প্রচুর দর্শনার্থী প্রতিমাসে আনাগোনা করে ৷ তাদের জন্য আপনি ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ আপনি প্রাথমিকভাবে হয়তো খুব বেশি ইনকাম না করলেও সময়ের বাড়ার সাথে সাথে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে ৷
সুবিধা
- শুধু অল্প মাত্র মূলধন দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- বর্তমানে ব্যবসায় চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ৷
- কোন নির্দিষ্ট এলাকাকে ভিত্তি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
- বেশ কয়েক বছর কাজ করলে ইনকাম দৈনিক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি ৷
Read More
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান 2022
Most Profitable business in Bangladesh-15 Tips
Top 10 New Business Ideas in Bangladesh
Top 10 Luxury Hotels in Cox's Bazar
6. কফি হাউজ ব্যবসা
বাংলাদেশের দিনে দিনে কফির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেক ধরনের বিদেশি খাদ্যের চাহিদা আপনি এই ধরনের ব্যবসা ভিত্তি করে একটি লাভজনক ব্যবসা রূপান্তর করতে পারেন ৷ বাংলাদেশ জনসংখ্যায় দিক থেকে কফির চাহিদা খুব কম কিন্তু দিনে দিনে এ চাহিদা বিশাল আকার ধারণ করেছে ৷ এজন্য এই ব্যবসা করে খুব বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে এই ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হবে ৷
- অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- শহরে এই ব্যবসার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি ৷
- খুব বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন ৷
7. কাপড় বিক্রির ব্যবসা
বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় একটি ব্যবসার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা অন্যতম এই ব্যবসা ৷বাংলাদেশের সব স্থানে রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই বাঙ্গালীদের কাপড়ের মর্যাদা অনেক বেশি ৷ বাংলাদেশ খ্রিস্টপূর্ব সাল থেকে কাপড়ের ব্যবসা শুরু হয়েছে এ ধরনের ব্যবসা৷ শুধু লাভজনক তা নয় কিন্তু এটি ইসলাম ধর্মের হালাল ব্যবসার একটি অন্যতম ব্যবসা ৷ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এ ব্যবসা করেছেন এবং প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন ৷ এজন্য এ ব্যবসার আমার কাছে সবথেকে একটি ভালোবাসার ব্যবসা ৷ এই ব্যবসায় প্রচুর ইনকাম করা যায় ৷
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাপড় বিক্রি একটি অন্যতম জনপ্রিয় আয় করার মাধ্যম হয়ে উঠেছে ৷ আপনারা অল্প টাকায় পাইকারি পোশাক কিনে তা শহর অঞ্চলে কিংবা গ্রামে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন ৷ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কাপড় বিক্রির ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে ৷ আপনি চাইলে এ ধরনের ব্যবসা করতে পারেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে এসব কাপড় অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন ৷ ফেসবুক ,টুইটার ,ইনস্টাগ্রাম ,পিন্টারেস্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে কাপড় বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷ এবং চাইলে একটি দোকানের মাধ্যমে এ ব্যবসা করতে পারবেন এ ব্যবসা করলে প্রথম প্রথম উল্লেখযোগ্য হারে আয় না হলেও পরবর্তীতে এ আয় এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজি দিয়ে কাপড় বিক্রির ব্যবসা করতে পারবেন ৷
- যদি দোকান অথবা অনলাইন সম্পর্কে না জানেন তাহলে ভ্যান রিক্সা করে এ ব্যবসা করতে পারবেন
- কর্মচারী এবং লোকবল কম লাগে ৷
- ভালো জায়গায় ব্যবসা করতে পারলে ইনকাম দ্রুত বৃদ্ধি পায় ৷
8. ওয়ান টাইম গ্লাস এবং প্লেট বিক্রির ব্যবসা
বাংলাদেশের দিনে দিনে ওয়ান টাইম গ্লাস এবং প্লেট বিক্রি বেড়ে চলেছে ৷ বিয়ে ,অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে সবসময় ওয়ান টাইম গ্লাস এবং প্লেট ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এ ধরনের প্লেট এবং গ্লাস বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ যা শুধু শহরাঞ্চলে না গ্রাম অঞ্চলে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটি কাগজের তৈরি হয় পরিবেশের সাথে মানানসই ৷ তাছাড়া এটি অল্প দামে পাওয়ার এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
বাংলাদেশ অতি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এজন্য পরিবেশ এর জন্য এই ধরনের ওয়ানটাইম গ্লাস এবং প্লেট ব্যবহার উপযোগী ৷বর্তমানে অনেক হোটেল রেস্তোরাঁগুলি তে এই ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
আর আপনার যদি একটু মাঝারি সাইজের মূলধন থাকে তাহলে আপনি সরাসরি ওয়ান টাইম গ্লাস এবং প্লেট তৈরীর যন্ত্রটি ক্রয় করতে পারবেন ৷ এ যন্ত্রটির মূল্য 70 থেকে 80 হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে অঞ্চলভেদে এর তারতম্য হতে পারে ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশের দিনে দিনে ওয়ান টাইম গ্লাস ও প্লেট বিক্রি ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- সকল অনুষ্ঠানের এ ধরনের প্লেট এবং গ্লাস ব্যবহার হয় বিক্রি বেশি হচ্ছে এর ফলে লাভও বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- সব ধরনের অঞ্চলেই এই ব্যবসা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ৷
9. পাটের তৈরি সামগ্রী এর ব্যবসা
বাংলাদেশের পাটের তৈরি ব্যাগ বস্তা এবং সৌখিন অনেক ধরনের জিনিসের জনপ্রিয়তা রয়েছে দেশে এবং বিদেশে ৷ আমরা জানি ,বাংলাদেশ সোনালী আঁশের দেশ ৷ আমরা চাইলে পাঠের তৈরি নানী ধরনের সামগ্রী তৈরি করে দেশে এবং বিদেশে বিক্রি করে ভালো জীবিকা নির্ভর করতে পারব ৷ বর্তমানে বাংলাদেশ নানা ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে ৷একদিন ইউটিউবে দেখলাম যে ,বাংলাদেশের পাঠের তৈরি হ্যান্ড ব্যাগ ,বস্তা ইত্যাদি পশ্চিমা দেশগুলোতে খুব ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ৷ যেগুলোর দাম খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে ৷
আপনি ধরনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভালো একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন ৷ যা ভবিষ্যতে আরো বড়ো আকারে করতে পারবেন বাংলাদেশ গ্রাম অঞ্চলে সামগ্রী তৈরি করা হয়ে থাকে ৷আপনি সেখান থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারবেন ৷ তাছাড়া ইউটিউব এবং যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এ ধরনের কোর্স করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- বিদেশে এবং দেশে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- এটি পরিবেশবান্ধব এবং প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পুরো বিশ্বে স্বীকৃতি অর্জন করেছে ৷
- ভালো পরিমাণ নিয়ে আর করতে পারবেন ৷
- অল্প পুঁজি দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
- অনলাইনে এ ধরনের সামগ্রীর তুমুল চাহিদা রয়েছে ৷
10. কোচিং এর ব্যবসা
বাংলাদেশের লেখাপড়ার স্কুল-কলেজের পাশাপাশি অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কোচিং বা প্রাইভেট সেন্টার ৷ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী কমবেশি প্রাইভেট কিংবা কোচিং এর মত প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ৷ আপনি যদি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে স্কুল-কলেজে আপনি থাকাকালীন সময় দেখেছেন বেশিরভাগই শিক্ষার্থী ভালো কোন স্যারের কাছে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ে ৷ আপনি ভাল মানুষ শিক্ষিত হলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের একটি কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট চালু করতে পারেন ৷
বাংলাদেশ প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে পাশাপাশি কোচিং বা প্রাইভেট এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সংযুক্ত ৷ আপনি নিজের বাসায় বা বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট শুরু করতে পারেন ৷ এটি বাংলাদেশের সবথেকে লাভজনক ব্যবসা মধ্য অন্যতম তার বলার রাখেনা ৷
সুবিধা
- এ ব্যবসা ফ্রীতেই করা যায় কোন প্রকার পুঁজির প্রয়োজন হয় না অর্থাৎ বিনা পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
- ঘরে বসেই এ ধরনের ব্যবসা করা যায় ৷
- একবার আপনার স্টুডেন্ট ভালো রেজাল্ট করলে পরবর্তীতে আর স্টুডেন্ট পাবেন ৷
11. গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবসা
বাংলাদেশের সব জায়গায় এখন ছবি বা গ্রাফিক্স দেখা যায় ৷ এমনকি বাংলাদেশের দুর্লভ জায়গাগুলোতেও গ্রাফিক্সের দেখে থাকেন ৷ হয়তোবা গ্রাফিক্স কোনগুলো সেগুলো জানেন না কিন্তু অবশ্যই দেখেছেন ৷ আপনি রাস্তাঘাটে দেখবেন অনেক সময় পোস্টার লাগানো থাকে কিংবা ভোটের সময় এক ধরনের পেপার ব্যবহার করা হয় তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক ধরনের ব্যবহার করা হয় এগুলো মূলত গ্রাফিক্সের কাজ ৷ বাংলাদেশের যে পরিমাণে গ্রাফিক্সের কাজ চলছে সে তুলনায় ভালো দক্ষ গ্রাফিক ডিজানার কম ৷ বাংলাদেশের গ্রাফিক ডিজাইন এর ব্যবহার এত পরিমাণে বেড়ে গেছে যে এ ব্যবসার প্রতি বছরে 5 থেকে 10 হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে যা অবাক করার মত একটি বিষয়৷ আপনি এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন ৷
বাংলাদেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি গ্রাফিক ডিজাইনে করেছেন ৷ এবং একটি স্থান রয়েছে যারা সরাসরি এধরনের কাজ শিখিয়ে থাকে আপনার সেখান থেকে শিখে নিতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে ৷আপনি যেমন বাংলাদেশ কাজ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে হাজার হাজার কাজ পাবেন ৷ মূলত এটি কেমন একটি পেশা বা দক্ষতা শিখলে আপনাকে কখনো বসে থাকতে হবে না ৷ আপনার কাজ রয়েছে শুধু দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে ৷
সুবিধা
- আপনি একটি ভালো কোর্স করেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন ৷
- অনলাইনে এবং বাংলাদেশের চাহিদার মত হাজার হাজার হয়েছে৷
- সব কাজেই এখন গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হচ্ছে এ জন্য কাজের অভাব থাকে না ৷
- তাছাড়া আপনি ভবিষ্যতে এ ধরনের কোর্স করিয়ে আয় করতে পারবেন৷
12. ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা
বর্তমান যুগের বিদ্যুৎ ছাড়া বেঁচে থাকা মূলত কঠিন ৷ বাংলাদেশ এখন প্রায় 100% মানুষ এই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় সুতরাং এই ব্যবসা চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ বিশেষ করে লাইট ,ফ্যান ,সুইচ, প্লাগ ,কেবল তার ইত্যাদি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷তাছাড়া আরো বৈদ্যুতিক আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ আপনারা চাইলে এই ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন ৷
এ ধরনের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মাঝারি মূলধন রাখতে হবে ৷ কারণ প্রাথমিকভাবে জিনিসগুলো ক্রয় করতে আপনাকে টাকা ব্যয় করতে হবে ৷ কিন্তু এই ব্যবসাকে একবার দাঁড়িয়ে গেলে পরবর্তীতে অনেক লাভ করা যায় ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশের বাজারে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ৷
- বেশি পরিমাণে লাভ করা যায় ৷
- সব অঞ্চলেই এ ব্যবসা করা যায় ৷
13. ফুড ট্রাক ব্যবসা
অনেক সময় আমরা টেলিভিশনে এক ধরনের গাড়ি দেখি যেখানে খাদ্য বিক্রি করে গাড়ির মাধ্যমে এবং ওই গাড়িতে থাকে ৷ এটি মূলত ট্রাক গাড়ি যেখানে রাত্রি যাপন করা যায় এবং নানা ধরনের রান্না ব্যবসা করা যায় ৷ এ ধরনের ব্যবসা খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে উন্নত দেশগুলোতে ৷ বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ধরনের ফুড ট্রাক ব্যবসা লক্ষ্য করা যাচ্ছে আপনি যদি একটি ভাল মানের গাড়ি ক্রয় করার ক্ষমতা রাখেন তাহলে৷ এভাবে আপনার জন্য অসাধারণ হতে পারে ৷
বাংলাদেশের নতুন ব্যবসা গুলোর অন্যতম একটি ব্যবসার ফুড ট্রাক ব্যবসা ৷ আপনি নির্দিষ্ট ব্যবসার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- একটি ফুড ট্রাক গাড়ি কিনলে সেখান থেকে ব্যবসা এবং থাকা-খাওয়া করতে পারবেন ৷
- গাড়ি কিনার পর নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবসা করার দরকার নেই সব জায়গায় কাজ করতে পারবেন ৷
- বিশেষ করে পর্যটন এলাকায় এ ধরনের ব্যবসা ভালো চলে ৷
- বাংলাদেশ এ ধরনের ব্যবসা নতুন হয় খুব ভালো বেচাকেনা হবে ৷
14. গাড়ি পরিষ্কার ব্যবসা
বাংলাদেশ হাজার হাজার গাড়ি প্রতিদিন নোংরা হয় ৷ আপনি এ ধরনের আইডিয়া কাজে লাগিয়ে একটি কার ওয়াশ অর্থাৎ গাড়ি পরিষ্কার করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ প্রতিটি গাড়ির জন্য ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ৷শহর এলাকায় এ ধরনের কাজে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ৷
বাংলাদেশ খুব কমসংখ্যক এলাকায় এ ধরনের কাজ থাকায় আপনি নিশ্চিন্তে ভালো আয় করতে পারবেন ৷ তাছাড়া এ ধরনের ব্যবসায় অল্প পুজিতে কাজ শুরু করা যায় ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশ গাড়ি বৃদ্ধির সাথে সাথে গাড়ি পরিষ্কার করার ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- শহরাঞ্চলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ৷
- ভালো পরিমানে আয় করা যায় ৷
15. শিশু কেয়ার ব্যবসা আইডিয়া
বাংলাদেশ নারী পুরুষ সমানভাবে কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তাদের শিশুদের শিক্ষার জন্য একটি শিশুর কেয়ার সেন্টারে রেখে যায় ৷ সেখানে তারা তাদের বাচ্চাদের সুরক্ষায় ,নিরাপদ, নিরাপত্তা জন্য কাজ করে ৷ এরকম ব্যবসা শুরু করতে পারেন এই ধরনের ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে লাভ করা যায় ৷ এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি লাভজনক ব্যবসা ৷
এ ব্যবসার জন্য প্রাথমিকভাবে সামান্য টাকা খরচ করতে হয় ৷ অর্থাৎ মাঝারি ধরনের মূলধন নিয়ে নামতে হয় ৷ তাহলে আপনি অল্প সময়ে লাভবান হতে পারবেন ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশের আজ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ব্যবসার আইডিয়া অত্যন্ত লাভজনক ৷
- এটি বাংলাদেশের একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ন্যূনতম ৷
- বেশ ভালো পরিমানে আয় করা যায় ৷
- ঢাকা সহ রাজধানী ঢাকার আশেপাশে এ ধরনের ব্যবসা ভালো হতে পারে ৷
16. ভাষা শেখার ব্যবসা আইডিয়া
বাংলা দেশে প্রতিবছর অসংখ্য শ্রমিক অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায় ৷ আপনি চাইলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিদেশি ভাষার ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ইটালি ,মালোশিয়া ,দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, u.s.a. ,ফ্রান্স ইত্যাদি দেশে ব্যাপক আকারে কর্মচারী পাড়ি জমাচ্ছে ৷ আপনি একটি নির্দিষ্ট ভাষা শেখার পরবর্তীতে তা মানুষকে কোর্স আকারে করাতে পারেন ৷
ভাষা শেখার জন্য আপনি অনেক ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান পাবেন ৷ তাছাড়া আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে এধরনের ভাষা শিখতে পারেন ৷ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইতালি মালোশিয়া এবং চীনে বেশি মানুষ যাচ্ছে বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- বর্তমানে এই ধরনের ব্যবসা লাভজনক ৷
- ঢাকা শহরে এ ধরনের ব্যবসা খুব ভালো চলছে ৷
- একবার ব্যবসা দাড় হলে পরবর্তীতে আর চিন্তা করতে লাগে না ৷
17. চা পাতার ব্যবসা
বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় পানীয় গুলোর অন্যতম একটি হলো চা ৷ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিদিন 1 লাখ টন চা পাতার ব্যবসা করা হয় ৷ আপনি সাবধানে থাকবেন চা পাতার ব্যবসা শুরু হয়েছে ৷আপনি যদি উত্তরবঙ্গ দিকে লক্ষ্য করেন এখন সে জায়গা সমতল হওয়া সত্বেও তাড়াতাড়ি শুরু করেছেন এরকম আপনি পাহাড়ি এলাকার কিংবা সমতল এলাকায় চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ এই ব্যবসা বাংলাদেশের অন্যতম একটি লাভজনক ব্যবসা ৷
বর্তমানে যে পরিমাণে চা পাতা বাংলাদেশ উৎপাদন করা হয় তা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে ৷ এটি আপনার জন্য একটি পজিটিভ পয়েন্ট হতে পারে ৷
সুবিধা
- আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা খুব বেশি ৷
- মাঝারি পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় কখনো অল্প পুঁজি অল্প পরিমাণে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- ব্যবসা বড় করা খুব অল্প সময়ের কাজ ৷
- আশেপাশের এলাকায় চা পাতার বিক্রয় করতে পারবেন ৷
18. ফার্মেসি ব্যবসা
বাংলাদেশের সব জায়গাতেই ভালো ফার্মেসি রয়েছেন ৷ বাংলাদেশ ফার্মেসি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লাভ করছেন ৷ এটি বাংলাদেশের একটি লাভজনক ব্যবসা গুলোর অন্যতম আপনি এভাবে শুরু করতে পারেন অনায়াসে যদি আপনি পূর্বে থেকেই এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন ৷ তাহলে তো কোন কথাই নেই আর যদি এ বিষয়ে দক্ষ না হয়ে থাকেন তাহলে অনেক কোর্স রয়েছে যেগুলো করতে পারেন ৷ কিংবা কোন ফার্মেসির দোকান থেকে এ ধরনের কাজ শিখতে পারেন ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায় ৷
- বাংলাদেশ ফার্মেসি চাহিদা খুব বেশি ৷
- ভালো স্থানে দোকান করতে পারলে খুব ভালো ইনকাম করা যায় ৷
- এই ব্যবসায় ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল ৷
19. ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা
আমরা যারা অনলাইনে রয়েছে তাদের নিজস্ব একটি করে ওয়েবসাইট দরকার ৷ এর জন্য তারা ডোমেইন-হোষ্টিং কোম্পানির দিকে ছুটে যাই ৷ বাংলাদেশের এখন নানা ধরনের অনুষ্ঠান কোম্পানি শুরু হয়েছে যেগুলো খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম শুরু করতে পেরেছেন ৷
ডোমেইন-হোষ্টিং কম্পানি দিয়ে শুধু বাংলাদেশের আয় করা সম্ভব তা কিন্তু নয় সারাবিশ্বেই এ ব্যবসা চাহিদা খুব বেশি ৷
সুবিধা
- যারা অনলাইন এ রয়েছেন তারা অবশ্যই জানেন এর কত লাভজনক হতে পারে ৷
- কোনো কাজ ছাড়াই বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং করতে পারবেন ৷
- বাংলাদেশি ইউটিউবার এবং ব্লগার দাঁড়া এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ৷
- খুব বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন ৷
Read More
How to buy domain with Bkash from Bangladesh: A complete guide
20.ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা
ফেসবুক মার্কেটিং এই কথাটির সাথে আমরা প্রায় সবাই সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় 65 শতাংশ মানুষ আজ ফেসবুকের সাথে ব্যবসায়িক ভাবে জড়িত ৷ তারা ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা এবং কাস্টমার খুঁজে আপনি একজন ভাল মানের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন ঘরে বসেই ৷
আউটসোর্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই ভালো ৷ এজন্য ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট এধরনের কাজ খুব ভালই পাবেন ৷
সুবিধা
- ফেসবুক সম্পর্কে তথ্য থাকায় অর্থাৎ সমস্ত কিছু জানার কারণে সহজেই কাজ করতে পারবেন ৷
- ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে কাজ করে অনেক বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন ৷
- বর্তমানে এই ধরনের কাজের খুব চাহিদা রয়েছে ৷
- কোন প্রকার পুঁজি ছাড়া এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং খুব ভালো পরিমাণ আয় করা যায় ৷
21. মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা
বাংলাদেশের প্রায় 18 কোটি মানুষ 22 কোটি মোবাইল ফোন ইউজ করতেছে ৷ প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রায় হাজার হাজার মোবাইল সেট রিপিয়ারিং এর জন্য কাজ করা হয় ৷ বর্তমানে বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসার মধ্যে এটি একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা ৷ বাংলাদেশ মোবাইল ব্যবহারকারীর সাথে সাথে মোবাইল রিপেয়ারিং চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ আপনি চাইলে এই ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারবেন ৷ মোবাইলের রিপেয়ারিং এর পাশাপাশি আপনি চাইলে আরো অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে জিনিসগুলো বিক্রি করতে পারবেন ৷ যেমন ব্যাটারি চার্জার ,সিম, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি
বাংলাদেশের চাহিদার তুলনায় খুব কম পরিমাণে এরকম দক্ষ মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা রয়েছে ৷ আপনি চাইলে এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাভজনক একটি ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন ৷ এই ব্যবসার আপনি অল্প পুঁজির মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন ৷ পরবর্তীতে আপনি চাইলে পরবর্তীতে এই ব্যবসাকে আরো বড় ও লাভজনক করতে পারবেন ৷
আপনি ইউটিউব থেকে মোবাইল রিপেয়ারিং সম্পর্কে ভিডিও দেখে এই পেশা গ্রহণ করতে পারেন ৷ তাছাড়া বাংলাদেশ অনেক জায়গায় এ ধরনের কোর্স করিয়ে থাকে ৷ আপনারা চাইলে সেখান থেকেও করতে পারেন ,আবার আশেপাশে কোন দোকান থেকে আপনি এ ধরনের কাজ শিখতে পারবেন ৷ আপনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত কিছু শিখে নিতে পারবেন ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজি তে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ৷
- সহজেই কাজ শিখতে পারবেন বিশেষ করে ইউটিউব এর মাধ্যমে ৷
- মোবাইল রিপেয়ারিং এর পাশাপাশি আনুষঙ্গিক জিনিস বিক্রি করতে পারবেন ৷
- অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায় বর্তমান বাজারে বিবেচনা করে ৷
22. টি-শার্ট প্রিন্টিং
টি শার্ট প্রিন্টিং মূলত একটি ব্ল্যাংক বা ফাঁকা টি শার্ট এর মধ্যে নতুনভাবে কোন লোগো, ছবি কিংবা নকশাকার কাজ ৷ আমরা অনেক টি-শার্ট পড়ি যেগুলোতে নানা ধরনের নকশা করা থাকে ৷ এগুলোই মূলত টি-শার্ট প্রিন্টিং এই ধরনের কাজ করে অনেক পরিমাণে আয় করা যায় ৷
বাংলাদেশের প্রায় 18 কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার এরকম টি শার্ট ক্রয় করা হচ্ছে ৷ আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এবং বিভিন্নভাবে ব্যবসা করে অনেক পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন ৷ এজন্য আপনাকে ভাল ধরনের ছবি এবং নকশা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে ৷ আপনি মনে মনে প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে এই কাজ শিখব এ ধরনের কাজ শিখার জন্য অনলাইনে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন৷ আপনি ইউটিউবে টি-শার্ট প্রিন্টিং বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন ৷ এই ব্যবসা করা যায় কিন্তু ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে লাগে আপনি একটি টি-শার্ট অল্প দামে ক্রয় করে তা প্রিন্টিং করে দ্বিগুণ দামে বিক্রয় করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- বাংলাদেশ অনেক জনসংখ্যা যার ফলে চাহিদা বেশি ৷
- স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় ৷
- বেশি পরিমাণে লাভ করা যায় ৷
- ভালো ভাবে কাজ করলে কাজের অভাব হয় না এবং লোকবলের প্রয়োজন হয় না ৷
24. ইউটিউবিং
বর্তমান যুগে প্রায় বিশ্বের শতকরা 70% মানুষ ইউটিউব এর সাথে সংযুক্ত ৷ বাংলাদেশ তার 13 লাখ এর বেশি ইউটিউবার রয়েছে ৷ বর্তমানে ইউটিউব নামটি শুনিনি তার সংখ্যা খুবই নগণ্য ৷ অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা দিনের বেশিরভাগ অংশই ইউটিউব এর মধ্যে পড়ে থাকে ৷ আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন ৷ ধরুন আপনি একটি ভাল মানের ভিডিও তৈরি করলেন ৷ পরবর্তীতে তা ইউটিউবে আপলোড করলেন ৷ যখন আপনার 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়ে যাবে তখন মনিটাইজ করে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন ৷ এবং এর পাশাপাশি আফিলিয়েট মার্কেটিং ,সিপিএ মার্কেটিং সহ স্পনসর্শিপ এরকম নানা ধরনের ইনকামের সুযোগ থাকবে ৷ তাছাড়া আপনি নিজের প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ৷
একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে আপনারা কোন টাকা বের করতে হবে না ৷ শুধুমাত্র আপনার একটি ভাল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই কাজ চালাতে পারবেন ৷ তাছাড়া অনেক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ভিডিও বানানো ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন ৷ বর্তমানে ইউটিউব শর্ট যুক্ত হওয়ার ফলে ইনকাম হওয়ার রাস্তা বা উপায় বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আপনি এই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন ৷
সুবিধা
- কোন ধরনের অর্থের প্রয়োজন হয় না ৷
- প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা যায় ৷
- ইনকাম করার অনেক রাস্তা রয়েছে ৷
- স্বল্প সময়ে ভালো ভিডিও মাধ্যমে ইনকাম করে প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারবেন ৷
ইউটিউব নিয়ে মোরশেদুল টেক ওয়েবসাইটে অনেক পোস্ট করা হয়েছে ৷ যার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন ৷
25. মাস্ক তৈরি ও বাজারজাতকরণ
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে মাক্সের এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ৷ এটি আমরা শুধু সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করে থাকি ৷ কিন্তু আপনি চাইলে এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মাস্ক তৈরীর মাধ্যমে বিপুল পরিমান ইনকাম করতে পারবেন ৷ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশেই করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে রয়েছে ৷ তাছাড়া ভালো মানের মাস্কের চাহিদা আকাশচুম্বী ৷
আপনি ঘরে বসেই ইউটিউব এর সাহায্য নিয়ে ভালো ভালো মাস্ক তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ৷ ভালো ও সুন্দর মাস্ক এর চাহিদা থাকায় এ থেকে আপনি ভালই ইনকাম করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন ৷
- খুব সামান্য পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন৷
- মার্কেটিং ছাড়াই আপনি সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ৷
- প্রয়োজনের তুলনায় ভালো মানের মাস্ক না থাকায় ভালোই লাভ করতে পারবেন ৷
26. ওয়েব ডিজাইনিং
ওয়েব ডিজাইনিং হল ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের সমস্ত ডিজাইন এবং কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার যায় কাজ সমূহ ৷ ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে অনেক ইনকাম করা যেতে পারে ৷ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার অন্যতম একটি হলো ওয়েব ডিজাইনিং ৷ বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে ৷ আপনি এই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরী করে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন ৷ তাছাড়া আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরীর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের কাজ করতে পারবেন ৷ যেমন ইউটিউবিং, ব্লগিং অনলাইন কোর্স ইত্যাদি
প্রত্যেক মানুষের চায় যে অনলাইনে ভালো কিছু করতাম কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় এই পেশায় একজন দক্ষ হতে পারেনা ৷ আপনি অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখান থেকে এই কাজগুলো শিখতে পারবেন ৷ আপনি চাইলে কোন জায়গা থেকে কোর্স করতে পারেন যা আপনার দক্ষতা আরো বৃদ্ধি করবে ৷ সকল কোম্পানি আর অনলাইনে আবদ্ধ আপনি এ সুযোগ কাজে লাগাবেন তাহলে অনলাইনে খুব বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন যেটি শুধু বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসা নয় ৷ পুরো বিশ্বের একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা ৷
সুবিধা
- ঘরে বসেই অনলাইনে অনেক পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন ৷
- খুব অল্প পুজিতে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ৷
- দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইনকাম বেশি হবে ৷
- বর্তমানে যুগে এর চাহিদা অতুলনীয় ৷
27. সাইবার সিকিউরিটি ব্যবসা
বিশ্বের সকল দেশের হ্যাকিং একটি পেশা হয়ে উঠেছে ৷এখানে হ্যাকার বলতে দুই ধরনের রয়েছে একটি ব্ল্যাক হ্যাকার এবং দ্বিতীয়টি হোয়াইট হ্যাকার ৷ আমরা হোয়াইট হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করব ৷ বর্তমান যুগে এ ধরনের কাজের চাহিদা অনেক বেশি ৷
হ্যাকার নামটি আমরা সবাই জানি তারা মূলত কোন একটি জায়গার তথ্য টাকা ইত্যাদি হাতিয়ে নেয় তারা ব্যাংকগুলোকে এবং সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে হ্যাকিং করে ৷ পরবর্তীতে সেগুলোতে এক্সেস করে অনেক টাকা চুরি করে থাকে ৷
কিন্তু আপনি সাইবার সিকিউরিটিতে কাজ করে অর্থাৎ হ্যাকিং সম্পর্কে সকল দক্ষতা অর্জন করে পরবর্তীতে সুরক্ষার জন্য এই কাজগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন ৷ বর্তমানে ব্যাংকগুলো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর চাহিদা আকাশচুম্বী ৷ বাংলাদেশ দিনে দিনে সাইবার সিকিউরিটি অর্থাৎ অনলাইনে সুরক্ষার জন্য কাজ করতে পারেন ৷
সুবিধা
- অনলাইনে ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে অনেক কোর্স পাবেন যা ফ্রিতে ৷
- বিনা পুঁজিতে এ ধরনের কাজ করতে পারবেন ৷
- অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন ৷
- বর্তমান বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি ৷
Read More
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান 2022
Most Profitable business in Bangladesh-15 Tips
Top 10 New Business Ideas in Bangladesh
Top 10 Luxury Hotels in Cox's Bazar
28. কম্পিউটার ল্যাপটপ রিপেয়ারিং ব্যবসা
বর্তমানে মোবাইল ফোন এর পাশাপাশি সবথেকে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস হলো কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ৷ আমরা বর্তমান যুগের লক্ষ্য করতে পারতেছি যে, পূর্বের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাপক আকারে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এবং ব্যবহারের পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যাও হচ্ছে ৷ কিন্তু বাংলাদেশ খুব কম জনই ল্যাপটপ ও কম্পিউটার রিপিয়ারিং করা জানে ৷
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় 2015 থেকে 2021 সালের পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার বিক্রি হয়েছে ৷ কিন্তু বাংলাদেশের সেই পরিমাণে দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই ৷ এজন্য আপনি এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি ভালো ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ৷
বর্তমানে দিনে দিনে যে আকারে কম্পিউটার ও ল্যাপটপের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ আপনি এই কাজটাকে একটি প্রফেশনাল ভাবে করলে একটি ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন ৷
সুবিধা
- শুধু কারিগরি জ্ঞান থাকলেই চলবে ৷
- অল্প পুজিতে বিজনেস করার সুবিধা পাবেন ৷
- কাজের তুলনায় কম্পিটিশন কম ৷
- রিপেয়ারিং এর পাশাপাশি কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক জিনিস বিক্রি করতে পারবেন ৷ যেমন কিবোর্ড ও মাউস ৷
কোথায় কম্পিউটার ও ল্যাপটপের রিপিয়ারিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করব ?
বর্তমানে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এ ধরনের দক্ষতার কোর্স তৈরি করেছে ৷ আপনি প্রাথমিকভাবে আশেপাশের দোকান থেকে শিখতে পারেন কিংবা ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন ৷ তাছাড়া বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা থেকে এ বিষয়ে কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ৷
29. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
বাংলাদেশ সারা বছরই হাজার হাজার অনুষ্ঠান এবং বিয়ে ইত্যাদি লেগেই থাকে ৷ বাংলাদেশের সবথেকে লাভজনক ব্যবসার অন্যতম একটি হলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা ৷ এই ধরনের ব্যবসায় আপনি সব জায়গায় করতে পারবেন ৷ কারণ প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানেই ম্যানেজমেন্ট এবং ভালোভাবে পরিচালনার জন্য এ ধরনের ইমেজ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট দরকার ৷ কিন্তু বাংলাদেশ এ ধরনের কাজের চাহিদা অনেক বেশি আপনি যদি ভালো করে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করেন ৷ আপনার কখনো কাজের অভাব হবেনা ৷ এবং এ ধরনের কাজে আপনি অনেক বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন ৷ ধরে নেন প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের জন্য আপনি 2000 টাকা দিচ্ছেন এরকম প্রতিদিন 5 টি কাজ পেলে আপনি 10000 টাকা ইনকাম করতে পারবেন ৷ ধরে নেন তারমধ্যে আপনার কাজ ও কর্মচারীদের পাঁচ হাজার টাকা দিলে আপনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দৈনিক ইনকাম করতে পারবেন ৷
বাংলাদেশের মানুষ আধুনিক সাথে সাথে আধুনিক ভাবে তাদের সকল অনুষ্ঠান করতে চায় ৷ আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি খুলতে পারেন ৷ ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন ৷ পরবর্তীতে আপনি চাইলে এটিকে আরো বড় আকার দিতে পারবেন ৷
সুবিধা
- এ ব্যবসায় খুব বেশি পরিমাণ লাভ করা যায় ৷
- নির্দিষ্ট কোথাও দক্ষতা অর্জন করতে লাগে না শুধু কাজের স্পৃহা লাগে ৷
- তুলনামূলক কম্পিটিশন কম ৷
- দক্ষতার সাথে কাজ করলে কাজের অভাব হবে না ৷
30. জিম এর ব্যবসা
বিশ্বের আধুনিক দেশগুলোর মত বাংলাদেশ জিম অর্থাৎ ফিটনেসসেন্টার খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে ৷ প্রত্যেক পুরুষের চায় নিজেকে ফিট রাখতে এজন্য তারা জিমে যায় ৷ কিন্তু বাংলাদেশ সব জায়গায় জিম নেই ৷ আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি ভালো ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন ৷
ফিটনেস সেন্টার অর্থাৎ জিম এর চাহিদা বাংলাদেশ অনেক বেশি ৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা ,পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন, বিভাগ পর্যায়ে খুব কমই পাওয়া যায় ৷ ঢাকার বাইরে এ ধরনের জিম খুবই কম আপনি যদি ভালোভাবে একটি জিম বা ফিটনেস সেন্টার তৈরি করতে পারেন ৷ তাহলে আপনি ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ৷
এই ব্যবসায় অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে ৷
বিশেষ করে চারটি জিনিস লক্ষ্য করা যায় তা হল ৷
- এখানে প্রচুর পরিমাণে টাকা ব্যয় হয় ৷
- ভালোই স্থানে ফিটনেসসেন্টার অর্থাৎ জিম না খুললে ইনকাম ভালো হয়না ৷
- ভালো ভাবে প্রচার করতে হয় নাহলে মানুষ ভালোভাবে জানতে পারেনা ৷
- ভালো কর্মী নিয়োগ দিতে হয় যারা এই কাজে পারদর্শী৷
31. খাবারের ব্যবসা
বাংলাদেশের ঋতুভেদে নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হয় ৷ যেমন শীতকালে ভাপা পিঠা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে ৷ এবং বর্তমানের দিনে দিনে ভালো খাদ্যের চাহিদা অনলাইনে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ আপনারা যদি খুব ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান্না তৈরি করে অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন ৷ বাংলাদেশের এই ধরনের ব্যবসা খুব বেশি পরিমাণে প্রসার ঘটেছে গত কয়েক বছরে ৷
কিন্তু যারা রান্না করতে পারেন না তারা আপনাদের আশেপাশে কারো কাছ থেকে রান্না শিখে নিতে পারেন ৷ কিংবা ইউটিউব থেকে রান্না শিখে নিতে পারেন ৷লআমার একজন ভালো বন্ধু এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এক মাসে প্রায় 6000 টাকা আয় করে পরবর্তী তিন মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে 15000 উন্নতি হয় ৷ বর্তমানে তার ব্যবসা খুব ভালো আকার ধারণ করেছে ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- ভাল রান্না জানা থাকলে আশেপাশেই দোকান দিয়ে বিক্রি করা যায় ৷
- বর্তমানের বাজারে খুব ভালো চাহিদা রয়েছে সুস্বাদু খাবারের ৷
- অনলাইনে এ ধরনের ব্যবসা করতে পারেন ৷ বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে ৷
32. অর্ডার ডেলিভারি ব্যবসা
বাংলাদেশের অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্রয় বিক্রয়ের জন্য খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ বিশেষ করে খাবার এবং প্রডাক্ট এর ওয়েবসাইটগুলো বাংলাদেশ দিনে দিনে ই-কমার্স লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ ই-কমার্সের একটি অন্যতম কাজ হল পণ্য ডেলিভারি করা ৷ বাংলাদেশ অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন ফুড পান্ডা ,দারাজ ইত্যাদি প্রতিদিন হাজার হাজার প্রোডাক্ট ডেলিভারি এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন ৷আপনি একজন ডেলিভারি ম্যান হতে পারেন ৷ প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ক্যারিয়ার করব ডেলিভারি বয় হয়ে.
প্রত্যেকটি প্রোডাক্টের জন্য ওয়েবসাইটগুলো একটি ডেলিভারি চার্জ কেটে থাকে মূলত সে কি আপনার ইনকামের উপায় ৷ আপনি যদি দৈনিক 20 টি অর্ডার ডেলিভারি করেন আর প্রত্যেক ডেলিভারির জন্য 35 টাকা করে পান তাহলে আপনি দৈনিক 700 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন ৷ এটি নির্ভর করে আপনি দৈনিক কতটি অর্ডার ডেলিভারি করলেন ৷ পরবর্তীতে আপনি আপনার কর্মচারী নিয়োগ করে এ ব্যবসা কে আরো বড় করতে পারেন ৷
এ কাজ করতে গেলে কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন হয় ৷ যেগুলো হলো একটি মোটরসাইকেল এবং ভালো একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি ৷
সুবিধা
- কাজের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷
- বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় ৷
- ইন্টারনেট এ ধরনের কাজ করার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৷
- নিজ এলাকায় থেকেই কাজ করা যায় ৷
33. খেলনার ব্যবসা
বাচ্চাদের সব সময় খেলাধুলার জন্য খেলনা প্রয়োজন ৷ বাংলাদেশের যে পরিমাণে বাচ্চা রয়েছে সে পরিমাণে এ ধরনের ব্যবসা খুব কম ৷ আপনি জেনে থাকবেন যে বাচ্চারা সবথেকে খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে ৷ আপনি এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি টয় স্টোর খুলতে পারেন ৷ প্রাথমিকভাবে অল্প পুজিতে ব্যবসাটি শুরু করা যায় ৷ তাছাড়া মাঝারি ধরনের ব্যবসা শুরু করেছে বেশি লাভবান হওয়া যায় ৷ আপনি প্রথমদিকে খুব বেশি পরিমাণে আর করতে না পারলেও পরবর্তীতে ইনকাম জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে ৷ কারণ যে ব্যক্তি আপনার কাছ থেকে খেলনা ক্রয় করবে পরবর্তীতে তার সাথে ভালো ব্যবহার করে আবার রিসেল করতে পারবেন ৷ এজন্য আপনাকে একটি উপযুক্ত জায়গা সিলেক্ট করতে হবে ৷ আপনার ভালো জায়গায় ব্যবসাটি স্থাপন করলে ইনকাম বেশি হবে ৷ আপনি স্কুলের সামনে ,খেলার মাঠে কিংবা যে স্থানে লোকের উপস্থিতি খুব ভালো আপনি সবসময় এরকম জায়গা সিলেক্ট করার চেষ্টা করবেন ৷ তাছাড়া আপনি ভ্যান ও রিসকায় এ ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন ৷ যদি প্রাথমিকভাবে আপনার মূলধন কম হয় ৷
সুবিধা
- বাচ্চাদের জন্য খুব বেশি পরিমাণে এ ধরনের বিক্রি হয়ে থাকে ৷
- অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
- ভালোভাবে কাজ করতে পারলে ব্যবসাটি অনেক লাভজনক হয় ৷
- শহরাঞ্চল এবং গ্রাম অঞ্চল যাই হোক না কেন ব্যবসা খুব ভালো চলে ৷
34. ব্লগিং
ব্লগিং সম্পর্কে কমবেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে পরিচিত ৷ ব্লগিং কি এ প্রশ্ন অনেক জোরে করে থাকেন তারা ভালো করে জেনে নিতে পারেন ৷ এ সম্পর্কে আমি পরবর্তীতে এই বিষয় বিশদ আর্টিকেল দিব ইনশাআল্লাহ ৷ বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর একটি হলো ব্লগিং ৷ ব্লগিং মূলত লেখালেখিকে সহজভাবে বোঝানো হয়ে থাকে ৷ আপনি এখন যে ওয়েবসাইটে রয়েছেন এবং যেই লেখাটি পড়ছেন সেটি মূলত ব্লগিং ৷ ব্লগিং করে আপনি নানা ভাবে ইনকাম করতে পারেন ৷
অ্যাডসেন্স যুক্ত করে আপনার সাইটকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৷ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা সিপি এ মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন ৷ বর্তমানে ব্লগিং এর চাহিদা আকাশচুম্বী ৷ বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার এরকম ব্লগার রয়েছে ৷
ব্লগিংয়ের সুবিধা
- ব্লগিং করার জন্য শুধু ডোমেইন-হোষ্টিং কিনতে হয় অথবা ব্লগার ইউজ করে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন ৷
- আপনি ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন ৷
- দক্ষতা অর্জনের জন্য ইউটিউবে সাহায্য যথেষ্ট ৷
- ইনকাম করার অনেক রাস্তা রয়েছে ৷
- অল্প সময়ে অধিক ইনকাম করতে পারবেন অন্যান্য বিজনেসের থেকে ৷
মোরশেদুল টেকের সাথেই থাকুন ৷ পরবর্তীতে ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট পাবলিশ করা হবে ৷ এজন্য আমাদের সাথেই থাকুন এরকম অনেক আর্টিকেলের জন্য ৷
35. অ্যাপ তৈরি ব্যবসা
বর্তমান যুগের সব কাজের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ সব ধরনের কাজে অ্যাপ ব্যবহারের ফলে জীবনের সহজ হয়ে যাচ্ছে ৷ আমরা মোবাইল ফোনে যতগুলো অপশন দেখে সবগুলো মূলত এক একটি অ্যাপ ৷ যেমন ফেসবুক ,টুইটার ,ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি তাছাড়া মোবাইলে ব্যবহার করা হয় ৷
এবং বর্তমান জীবনকে আরো সুবিধাদায়ক করার জন্য মিউজিক প্লেয়ার ,ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ আপনি এ ধরনের অ্যাপ তৈরি করে বিশাল অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন ৷ বর্তমানে এ ধরনের কাজ ফ্রিতে করা যায় আমি নিচে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিচ্ছি যার মাধ্যমে আপনি এক তৈরি করতে পারবেন ৷ তাছাড়া ইউটিউব এ হাজার হাজার ভিডিও পাবেন কিভাবে অ্যাপ তৈরি করা যায় ৷
সুবিধা
- অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিতেই কাজ করা যায় ৷ আবার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো তো টাকা দিয়ে কাজ করা হয় ৷
- চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি ৷
- দক্ষতা ভালো করে অর্জন করতে হয় তাহলে ভালো কাস্টমার পাবেন ৷
- আপনি ইনকাম খুব ভালো পরিমাণে করতে পারবেন ৷
ইনকামের উপায়
- একটি গুগল এডমোব এর সাথে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন ৷
- স্পনসর্শিপ এবং আফিলিয়েট মারকেটিং ,সিপিএ মার্কেটিং এবং প্রোডাক্ট সেলের মধ্যে কাজগুলো করতে পারবেন ৷
36. ফ্রেশ ফুড সাপ্লাই
বর্তমানে ফ্রেশ ফুডের চাহিদা বাজারে একটি বিশাল আকার ধারণ করেছে ৷ বাংলাদেশের এই ধরণের ফ্রেশ ফুড ব্যবসা খুবই লাভজনক হয়ে উঠছে ৷ আপনি বাজারে বেশিরভাগ ফলমূলের দোকানে ফল কিনেন কিন্তু আপনি জানেন না যেকোনো ফলগুলো ফ্রেশ ৷ কারণ বর্তমানে সব ফলমূলে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ তাছাড়া বর্তমানে ফ্রেশ ফুডের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর দাম বিশাল আকার ধারণ করেছে ৷
আপনি শুধু কাজে লাগিয়ে ছাদ বাগান করে শহর এলাকার আশেপাশে সাপ্লাই দিয়ে বিশাল পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন ৷ আর যারা গ্রাম অঞ্চলে বাস করে তারা ভালোভাবে বাগান করে পরবর্তীতে বিক্রি করে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারেন ৷ বর্তমানে অনেক উন্নত জাতের গাছ পাওয়া যায় যা সারাবছর ফলের যোগান দেয় ৷
সুবিধা
- আপনার ছাদ থাকলে সেখানে গাছ লাগিয়ে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন ৷
- খুব কম পরিমাণে পুঁজি লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷
- ইনকাম হবে তার সম্ভাবনা 100% ৷
- বর্তমানে বাজার খুব বেশি পরিমাণে চাহিদা রয়েছে ৷
37. টিস্যু পেপার বিজনেস
টিস্যু আমাদের জীবনে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ৷ আমরা সব জায়গায় টিস্যু ব্যবহার করি ৷ বর্তমানের দিনে দিনে টিস্যু চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি নিজে একজন উদ্যোক্তা হতে পারবেন ৷ আর যদি সেই সামর্থ্য না থাকে তাহলে আপনি কোন কোম্পানির সাথে ডিলারশিপ করতে পারেন তাতে ভালো পরিমাণ আয় হবে আশা করা যায় ৷
বর্তমানে বাজার বিবেচনা করে এটি লক্ষ্য করা যায় যে টিস্যু বর্তমান জীবনে বড় ভূমিকা রাখছে ৷ এই ব্যবসা ভবিষ্যতে আরো বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে ৷
সুবিধা
- অল্প পুঁজি থেকে শুরু করে বড় পুঁজি ইনভেস্ট করা যায় ৷
- বাজারে খুব চাহিদা থাকায় ইনকাম হয় সম্ভাবনা রয়েছে ৷
- সহজেই সব জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন ৷
- অনলাইনে এবং অফলাইনে মার্কেটিং করতে পারেন যার ফলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৷
38. বেকারি ব্যবসা
বাংলাদেশের বেকারি শিল্পের তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে ৷ বিস্কুট, পাউরুটি, কেক থেকে শুরু করে অনেক ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হয়ে থাকে ৷ যা সব জায়গায় চাহিদা রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ এই ব্যবসার অনেক বেশি প্রসার ঘটছে ৷ বাংলাদেশ জনসংখ্যার তুলনায় এই ব্যবসা অনেক কম ৷
আপনি চাইলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি বেকারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷ এ ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে অবশ্যই মাঝারি ধরনের মূলধন রাখতে হবে ৷ কারণ এ ব্যবসায় প্রাথমিক ব্যয় একটু বেশি পরিমাণে হয় ৷
সুবিধা-অসুবিধা
- চাহিদা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় কোয়ালিটি খারাপের কারনে বিক্রি কম হয় ৷
- মূলধন বেশি না হওয়ার কারণে এই ব্যবসায় কম্পিটিশন কম ৷
- ইনকাম খুব বেশি পরিমাণে করা যায় ৷
- অল্প লোক বল দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় ৷
39. পুরাতন সামগ্রীর ব্যবসা
বাংলাদেশের প্রতিদিন হাজার হাজার ফার্নিচার এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ আপনারা এই পুরাতন জিনিসপত্র এবং ফার্নিচারগুলোর ক্রয় করে পরবর্তীতে তা ভালো করে এবং রং করার মাধ্যমে তা নতুনভাবে প্রকাশ করতে পারেন ৷ এ ধরনের ব্যবসা বর্তমানে খুব ভালো চলছে বিশেষ করে আপনি আশপাশে পুরাতন ফার্নিচার ,ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলো সংগ্রহ করে ৷ পরবর্তীতে ভালো এবং সুন্দর করে নতুন এক রূপে প্রকাশ করতে পারএন ৷ তারপর সেগুলো অনলাইন বা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন ৷ একটি দোকানে বিক্রি করে তা থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন ৷
কিভাবে অনলাইনে ব্যবসা করব পুরাতন সামগ্রী ?
আপনি ওই পুরাতন ফার্নিচার এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলোকে মেরামত ও ভালো করে তা দারাজ, অথবা এবং অনেক সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি বিক্রি করতে পারবেন ৷আপনি একটি পুরাতন ফার্নিচার পাঁচশত টাকায় কিনে তার মেরামত ও রং করার পর ওয়েবসাইটে তিন থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন ৷ মেরামত খরচ এবং ক্রয় মূল্য বাদ দিলে আপনি প্রতিটি প্রোডাক্ট এর জন্য দুই থেকে তিন হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন ৷ এ ধরনের ব্যবসা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোতে ৷
করণীয় এবং সুবিধা
- সব সময় লক্ষ্য রাখবেন ভালো কোন জিনিস অর্থাৎ সামগ্রী ক্রয় করার যা দিয়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন ৷
- সুন্দর করে মেরামত ও আকর্ষণীয় রং ব্যবহার করতে হবে৷
- অনলাইনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে ৷
- আপনি এই ব্যবসায় অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন ৷
- অনলাইনে অথবা সরাসরি বিক্রি করে ভালো রকম লাভবান হওয়া যায় ৷
- অতিরিক্ত কর্মচারী প্রয়োজন হয় না 2-1 জন হলেই হয়ে যায় ৷
এই ব্যবসাগুলো হল বাংলাদেশের সব থেকে লাভজনক ব্যবসা ৷তাছাড়া আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব ভালো পরিমাণে আর করতে পারবেন ৷
সফলভাবে ব্যবসা করার নিয়ম
ব্যবসা করার প্রধানত তিনটি নিয়ম রয়েছে ৷ যেগুলো হলো :
1. সঠিক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করা ৷
2. ব্যবসার আইডিয়া তাকে কাজে রূপান্তর করা ৷
3. ভালো ভালে ব্যবসা শুরু করা ৷
সফলভাবে ব্যবসা করার ৮ টি টিপস
বাংলাদেশে আজ অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে যেখানে সব ধরনের ব্যবসা লাভজনক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে ৷ যদি সততা, শ্রম, ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি যে কোন কাজে সাফল্য পেতে পারেন ৷ তাছাড়া নিচের কোনটি ভালো উপায় বলছি :
- সবসময় কোন ব্যবসা শুরু করার আগে আশেপাশে লক্ষ্য করবেন যে ব্যবসাটি কেমন চলতে পারে
- ব্যবসা শুরু করার আগে সবসময় মনে রাখবেন প্রাথমিকভাবে খুব লাভবান হতে পারবেন না কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ব্যবসা উন্নতির শিখরে উঠবে ৷
- সবসময় মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন কারণ মনোযোগ ছাড়া কোন কাজেই সম্ভব নয় ৷
- কাজ করার পূর্বে সব সময় চিন্তাভাবনা করবেন যে আপনার জন্য কোন কাজটি সেরা ৷
- সময় নষ্ট না করে প্রত্যেকটি মিনিট ঘন্টা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন ৷
- প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হলে ধৈর্য হারাবেন না ৷
- আশেপাশে লোকজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করে পরিচিত করুন ৷
- সবসময় মোটিভেশনাল ইস্পিস এবং ভিডিও দেখুন তাহলে অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পাবে ৷
গ্রামে লাভজনক ব্যবসা 2022
আমি যে ব্যবসাগুলো উপরে উল্লেখ করেছি সেগুলো শহর অঞ্চলে এবং গ্রাম অঞ্চলে একরকম চলে কিন্তু সব ব্যবসা সব জায়গায় হয়না গ্রাম অঞ্চলে বিশেষ কয়েকটি ব্যবসা ভালো চলে ৷ এগুলো হলো :
- ফার্মেসি ব্যবসা
- ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা
- কোচিং এর ব্যবসা
- কাপড় বিক্রির ব্যবসা
- পোল্ট্রি ফার্মিং
- নতুন নতুন কৃষিকাজ ব্যবসা
- বেকারি ব্যবসা
- ইউটিউবিং করে
- ব্লগিং
- মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা
৫ লাখ টাকার ব্যবসা কোনগুলো ?
আমি ওপরে বিস্তারিত বলেছি কিন্তু আরেকবার বলছি যে ব্যবসাগুলো 5 লক্ষ টাকার নিচে কিন্তু এক লক্ষ টাকার ওপরে সে সমস্ত ব্যবসাকে মাঝারি ব্যবসা বলে ৷আপনি উপরে উল্লেখিত সমস্ত ব্যবসা করতে পারবেন যদি আপনার 5 লক্ষ টাকা ঠিকে থাকে ৷
পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ?
অনলাইন ব্যবসা অর্থাৎ ই-কমার্স ব্যবসা হল পৃথিবীর সব থেকে লাভজনক ব্যবসা ৷ বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিরা এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ৷
দেহ ব্যবসা হারাম নাকি হালাল?
এই ব্যবসা সরাসরি ইসলামে হারাম ৷ এ ব্যবসা করে যারা বা যে ব্যক্তি ইনকাম করছে ভাই এই ধরনের কনটেন্ট খুঁজছে তারা সবাই গুনাহের হকদার হবে ৷ এই ধরনের কাজ ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ৷ এ ধরনের কাজ করলে জাহান্নাম হতে পারে ৷ আমরা যারা মুসলমান বেশি তারা সবাই এ ধরনের কনটেন্ট সার্চ করা থেকে বিরত থাকব ইনশাআল্লাহ ৷ আর এ ধরনের কাজকে সবসময় বর্জন করব ৷
ব্যবসায় উদ্যোগ এর ইংরেজি কি?
ব্যবসায় উদ্যোগ এর ইংরেজি হল Enterprise বা Business ventures বলা হয়ে থাকে ৷
উপসংহার
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এবং ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ৷ গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে বিনা পুঁজিতে কিভাবে বিজনেস শুরু করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ এই পোস্টে তাছাড়া আপনি যদি কোন ধরনের প্রশ্ন করতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন এবং কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করতে পারেন ৷ তাছাড়া আপনি যদি কোন ধরনের পোস্ট চান পরবর্তীতে তা জানিয়ে দিবেন ইনশাল্লাহ ৷