বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা এর জন্য বিশ্বজুড়ে খুব সুনাম অর্জন করেছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশের যে হারে ফ্রিল্যান্সাররা বৃদ্ধি পাচ্ছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী খাত হয়ে দাঁড়াবে তা বলার রাখে না৷ বর্তমানে বাংলাদেশের অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকে ৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষকের মতে ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় খাত হতে পারে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান |
বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং৷ বাংলাদেশ আজ একটি শক্তিশালী অবস্থান ধারণ করেছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ৷বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের মতো বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আজ অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে দেশের জিডিপিতে ৷বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা খুবই জনপ্রিয় তাদের কাজের জন্য৷ ভবিষ্যতে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর সব থেকে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় একটি পেশা হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া অনেক ফ্রিল্যান্সার বর্তমানে নিজের ইনকামের পাশাপাশি দেশের সুনাম বয়ে আনছে। এবং নতুনদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
বাংলাদেশ আজ ডিজিটালাইজড হচ্ছে তার সাথে সাথে বাংলাদেশের আইটি সেক্টর এবং ইন্টারনেট খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে৷ যার ফলে বাংলাদেশের দিনেদিনে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে তার পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে ৷ গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যে পরিমাণে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অগ্রগতি করেছে তা অভূতপূর্ব।
আজকের এই পোস্টে আমরা ফ্রিলান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান, সেরা কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার, সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান সারাবিশ্বে কততম, ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি, ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ৷ আশা করি এই পোস্টটির মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে পড়লে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞেস করতে পারবেন আমি ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব তাহলে। চলুন শুরু করা যাক,
Table of Contents
ফ্রিল্যান্সিং কি
সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হল কারো অধীনে চাকরি না করে অনলাইনে নিজের পছন্দমত কাজ করাকে বুঝানো হয়ে থাকে। এখানে আপনি নিজেই নিজের বস। আপনি ইচ্ছে মতো আপনার পছন্দের কাজ করতে পারবেন যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় নির্দিষ্ট কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে সরাসরি কাজ করতে পারবেন কিংবা অন্যান্য কাজগুলো করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রকারভেদ মূলত নানা প্রকার হয়ে থাকে। কাজের দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি হলো অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ও অপরটি হল অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং। তাছাড়া সময়ের দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং এ আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি হলো ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার অন্যটি হলো পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সার। স্কিলের দিক থেকেও আবার ফ্রিল্যান্সারকে নানাভাবে ভাগ করা যায় যেমন মার্কেটার, ডিজাইনার, রাইটার, ডেভলপার ইত্যাদি।
Related Posts
ফ্রিল্যান্সার হতে যা যা প্রয়োজন
১. কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা কিংবা মোবাইল সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা
কম্পিউটার দিয়ে যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অনলাইনে কিভাবে কাজ করবেন সে ব্যাপারে আপনাকে সম্পূর্ণ সজাগ থাকতে হবে ৷ আর আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে প্রথম দিকে আপনাকে বেশ পরিমাণে খাটনি করতে হবে, কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাটা খুবই কঠিন। কিন্তু আপনার ইচ্ছা এবং অধ্যবসায় এবং থাকলে আপনি নিশ্চয়ই সফল হতে পারবেন। আপনাকে মোবাইল সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা থাকতে হবে এবং মোবাইলের মাধ্যমে সমস্ত কাজ শিখতে হবে।
২. ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কি কাজ করা যায় এবং কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। সব সময় ইন্টারনেট থাকে এরকম ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস
ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্ব শর্তই হলো আপনাকে পরিপূর্ণভাবে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। প্রথমদিকে খুব একটু সুবিধা না করতে পারলেও আপনাকে হাল ধরে রাখতে হবে। যদি আপনি অল্পতেই হার মেনে নেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আপনার জন্য কখনো উপযুক্ত হবে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিকভাবে উপযুক্ত হতে হবে।
৪. পর্যাপ্ত সময়
ফ্রিল্যান্সিং করার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল পর্যাপ্ত পরিমাণে সময়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর প্রতিদিন কমপক্ষে 10 থেকে 12 ঘন্টা সময় দেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সফলতার দিকে ধাবিত হবেন। সময় ছাড়া আপনি কখনো ই সফল হতে পারবেন না। এজন্য পূর্ব থেকেই পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজ করা শুরু করবে।
৫. যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্য
ফ্রিল্যান্সিং কাজ হল ধৈর্যের অন্যতম একটি পরীক্ষা। আপনি যখন প্রথম দিক ফ্রিল্যান্সিং পা দিবেন তখন প্রথম প্রথম ইনকাম খুব একটা হয় না অনেকেই আছে ধৈর্য হারিয়ে কাজ থেকে সরে পড়েন যার ফলে তারা সফলতা অর্জন করতে পারে না। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য রাখতে হবে।
৬. দক্ষতা অর্জন
ফ্রিল্যান্সিং করার পরে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি কোন কাজের উপর পারদর্শী কিংবা কি কাজ করতে আপনাকে ভালো লাগে সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন তাহলে সফলতা হাতছানি দিবে।
৭. সমস্যা সমাধানের স্কিল
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ছোটখাটো প্রবলেম গুলোকে নিজে নিজে সমাধান করার শিখে নিতে হবে। কখনো কখনো ছোটখাটো প্রবলেম হলে আপনি সেটাকে সমাধানে চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে ইউটিউবে কিংবা ব্লগে এই বিষয়ে তথ্য এগিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যার ফলে আপনি পরবর্তীতে এই কাজে নিজে নিজে পারদর্শিতা অর্জন করবেন।
৮. সামান্য হলেও ইংরেজি জানা
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে সামান্য ইংরেজি জানতেই হবে। আপনি যখন বায়ারের সাথে কথা বলবেন তখন ইংলিশ প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনাকে সব সময় ইংরেজি শেখার দিকে একটু চেষ্টা করতে হবে। অন্যান্য কাজে আপনি google translate কিংবা Yandex ট্রান্সলেট ব্যবহার করে বাংলা থেকে ইংরেজিতে রূপান্তর করে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সামান্য ইংরেজি জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত ২০২৩
গ্লোবাল গিগ ইন্ডেক্স ২০১৯-২০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে 27% যা বিশ্বের খুব অল্প দেশেই হয়েছে ৷ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিজস্ব চাহিদার কারণে এ ধরনের উন্নতি হয়েছে, বাংলাদেশে তুলনামূলক কম সুবিধা পাওয়ার পরেও তারা হবেই সুন্দরভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 2021 সালে যখন করোনাভাইরাস ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তি বেকার হয়ে যায় সে সময় অনেকজন ঘরের মধ্যে থেকে ইনকাম করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যুক্ত হন। যার ফলে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং অবস্থানে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান অষ্টম ৷ 2017-18 সালে ছিল সপ্তম কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশকে টপকে ভারত সপ্তম স্থান দখল করে নেয়৷ কিন্তু আজও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সেরা দে শ বলেই মনে করেন অনেক বড় বড় বিশেষজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার যারা বেশিরভাগেই আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশের ৷ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় খুব ভালো হয়ে থাকে। আশা করা যায় ২০২১ এবং ২২ সালের যে নতুন তৈরি করা হবে তাতে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি হবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ২০২১ সালের আগস্টের যে জরিপ চালায় সেখানে লক্ষ্য করা যায় ২০১৯ সালে পর থেকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা খুব দ্রুত গতিতে উন্নতি করেছে এবং ইনকামের দিক থেকেও অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
যদি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কে আরো বেশি করে ট্রেনিং দেওয়া যায় তবে আরো এই অবস্থান বৃদ্ধি এবং ভালো করবে ৷ বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক আইটি কোম্পানি এই কাজের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশে আরো দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উপরে নিয়ে যাবে তা আশা করা যায়।
সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং দেশ ২০২৩
২০১৯ সালের ফ্রিল্যান্সিং প্রবৃদ্ধি এবং গ্লোবাল পিক ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে ১৫ টি সেরা দেশের নাম উল্লেখ করা হলো
1. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
2. যুক্তরাজ্য
3. ব্রাজিল
4. পাকিস্তান
5. ইউক্রেন
6. ফিলিপাইন
7. ভারত
8. বাংলাদেশ
9. রাশিয়া
10. সার্বিয়া
11. কানাডা
12. অস্ট্রেলিয়া
13. নাইজেরিয়া
14. জার্মানি
15. ফ্রান্স
সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা ২০২৩
১. আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস হল আপওয়ার্ক৷ প্রতিষ্ঠাকালীন এইসাইটের নাম ছিল ওডেস্ক ৷ কিন্তু পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করা হয় ৷ এখানে সবথেকে বেশি পরিমাণে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাবেন ৷ তাছাড়া এখানে নানা ধরনের অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সবথেকে বেশি পরিমাণ ফ্রিল্যান্সার এখান থেকে কাজ করে থাকেন যারা প্রফেশনাল বা কোনো নির্দিষ্ট কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করেছে ৷ তাদের জন্য এই ওয়েবসাইট সবথেকে ভালো৷ এখানে আপনাকে কাজের জন্য প্রথমেই আপনার কভার লেটার প্রদান করতে হয়, তারপর যদি আপনাকে অ্যাপ্রুভ করে তাহলে আপনাকে ঘন্টা অনুসারে টাকা প্রদান করবে ৷ এখান থেকে আপনি পেওনিয়ার, পেপাল, মাস্টার কার্ড কিংবা ব্যাংক ট্রান্সফার এরকম অনেক পেমেন্ট অপশন পাবেন ৷
২.ফ্রিল্যান্সার ডট কম ওয়েবসাইট
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে freelancer.com আরেকটি জনপ্রিয় এবং দুর্দান্ত ওয়েবসাইট ৷এখানে আপনি বিগিনার থেকে শুরু করে যারা এক্সপার্ট রয়েছে তাদের জন্য হাজার হাজার কাজ রয়েছে ৷এটি মূলত অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট প্রতিবছর ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন হয়৷ এছাড়াও এখানে সকল প্রকার কাজ পাওয়া যায় ৷ পেওনিয়ার, পেপাল, ব্যাংক ট্রান্সফার কিংবা মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার অর্জিত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ৷
৩.ফাইভার ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
ফাইভার হলো সবথেকে বেস্ট ফ্রীলান্সিং সাইট ৷ এখানে আপনি প্রত্যেকটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ নিতে পারবেন ৷ আরেকটি মজার বিষয় হলো এখানে পাঁচ ডলারের নিচে কোন কাজ নেই ৷ তাছাড়া আপনি প্রত্যেকটা কাজের জন্য আপনার দক্ষতা অনুযায়ী চার্জ নিতে পারবেন এখানে আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না শুধু আপনাকে সুন্দরভাবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে তারপর আপনার কাস্টমারেরা আপনাকে তারা নিজেরাই কাজ দিয়ে যাবে ৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি কাজ জমা দিয়ে আয় করতে পারবেন ৷ এটি মূলত সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট তাছাড়া এখানে পেওনিয়ার, পেপাল, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন৷
৪. পিপল পার আওয়ার ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
পিপল পার আওয়ার হলো আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট৷ অনেক বেশি পরিমাণে কাজ পাবেন আপনি প্রতি ঘন্টার জন্য আপনার কাস্টমারের কাছ থেকে চার্জ নিতে পারবেন ৷এখানে আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার ,পেপাল এবং মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনার অর্জিত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন৷
৫. Guru ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
guru.com এরকম আরেকটি নতুন এবং ট্রেন্ডিং ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷ বর্তমানে এই ওয়েবসাইট থেকে অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারছেন৷ তাছাড়া এখানে সকল প্রকার কাজ পাবেন আপনারা বিশেষ করে যারা নতুন তাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ভালো হতে পারে ৷তাছাড়া আপনি এখানে ব্যাংক ট্রান্সফার ,পেপাল এবং মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন৷
৬. 99 Designs ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
99design.com মূলত গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৷এখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সকল সকল কাজ পাবেন এবং ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল কিংবা মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন৷
৭. Truelancer ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
Truelancer হলো আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট৷ এটি মূলত আপওয়ার্কে আদলেই তৈরি করা হয়েছে ৷এটিকে আপনি সমস্ত কিছু আপওয়ার্ক সাইটের মতোনই পাবেন একই রকম পেমেন্ট অপশন এবং সবকিছু একরকম বললেই চলে ৷
৮. Pro Blogger ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
প্রোব্লগার হল আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷ এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট টি মূলত কনটেন্ট রাইটার দের জন্য ৷ যারা খুব ভাল কনটেন্ট রাইটার তাদের জন্য এখানে অসংখ্য কাজ রয়েছে ৷ এখানে পেপাল ,ব্যাংক ট্রান্সফার এবং মাস্টারকার্ডের মতন পেমেন্ট অপশন রয়েছে ৷
৯. Behance ওয়েবসাইট
বিহান্স হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন ,লোগো ডিজাইনার অনলাইন কাজের জন্য বিখ্যাত ৷ তাছাড়া নানা ধরনের অনলাইন কাজ পাওয়া যায় এটি মূলত 99designs.com এর মত কাজ করে এবং পেমেন্ট অপশনে নানা ধরনের টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা রয়েছে ৷
১০. Toptap ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট
টপটাল এটি মূলত সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মধ্যে অন্যতম ৷ এখানে আপনি সকল প্রকার কাজ করতে পারবেন ৷ এখানে বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং সকল কাজ বেশি মুনাফা করা যায় ৷ এখান থেকে আপনি পেপাল ,ব্যাংক ট্রান্সফার কিংবা কার্ডের মাধ্যমে উইথড্রো দিতে পারবেন৷
বিল্যান্সার বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি সবথেকে ভালো এবং লাভজনক ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম প্রথমে আমার ওডেস্ক নামে তৈরি করলেও পরবর্তীতে তা বিল্যান্সার নামের রূপান্তর করে ৷ এখানে আপনাদের অনেক অনেক অনেক সুবিধা পাবেন বিশেষ করে আপনি মাতৃভাষা বাংলা কাজ করতে পারবেন ৷ এবং নানা ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ অনলাইন সাপোট বাংলায় কথা বলতে পারবেন যা অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুব ভালো হবে ৷ বিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে আপনি নানা ধরনের কাজ করতে পারবেন যার মধ্যে অন্যতম হলো এসইও এর কাজ, ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট ও ডিজাইন , আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও আর্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট , অনলাইন মার্কেটিং / ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি কাজ পাবেন ৷ সবথেকে ভালো দিক হলো আপনি বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় থেকে শুরু করে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাগুলোর মাধ্যমে আপনার অর্জিত অর্থ করতে পারবেন ৷ তাছাড়া পেপাল ,ব্যাংক ট্রান্সফার ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেও টাকা উইথড্র করতে পারবেন ৷
সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি?
সবগুলো সাইটেই ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ভালো কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্র লক্ষ্য করা যায় যে ফাইভার এবং আপওয়ার্ক সবথেকে সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷ এটি সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেস্ট ফ্রীলান্সিং সাইট বিশেষ করে ফাইভারের চাহিদা রয়েছে আকাশচুম্বী৷ যা শুধু বাংলাদেশের নয় অন্যান্য দেশগুলো তোও৷
READ MORE
How to buy domain with Bkash from Bangladesh
Best Skill for Freelancing For Beginners
Top 10 Web Application Testing Tools
How To Start Blogging in Bangladesh
সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ/স্কিল সমূহ ২০২৩
ফ্রিল্যান্সিংয়ে নানা ধরনের ক্যাটাগরিতে কাজগুলোকে ভাগ করা হয় তার মধ্যে বিশেষ করে যেগুলো বেশি পরিচিত এবং লাভজনক ক্যাটাগরি তা নিশ্চয় বুলেট আকারে দেওয়া হল;
- ওয়েব ডিজাইন
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এস ই ও
- প্রোডাক্ট সেলিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এস এম এম
- গ্রাফিক ডিজাইন
- প্রোগ্রামিং
- সফটওয়্যার প্রবলেম
- ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট
- কনটেন্ট ফাইটার
- এডভেটাইজিং
- অ্যাপ ডেভেলপার
- ডাটা এন্ট্রি
- ট্রান্সলেট ইন
- ডাটা এন্ট্রি
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- ফটোগ্রাফি এন্ড এডিটিং
- ভিডিও ক্রিয়েটর
- ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার
- ওয়েবসাইট অপটিমাইজার
- লিড জেনারেশন
- লোগো ডিজাইন
- ই কমার্স স্পেশালিস্ট
বাংলাদেশের টপ ফ্রিল্যান্সারের লিস্ট
এখানে উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সাররা আমার মতে ভালো এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে ৷এখানে কাউকে ছোট কিংবা বড় করার জন্য তালিকা করা হয়নি৷
- Mr. Mohammad Rafiqul Alam
- Mr. Sazzad Ahmad
- Mr. Shamsudeen Molla
- Rakibul Islam
- Muhammad Mahfuzur Rahman
- Ms. Rabeya Khanam
- Mr. Md. Akhter Hossain
- Farhad Hossain
- Abu Bakkar Siddique
- Md Rezaul Karim Chowdhury
- Md. Raju Ahmed
- Zahid Hasan
- Tarikul Hossain
- Sultan Mahmud
- Thowhidul Alam
- Md Safiullah.
- Nazmal Hasan
- Mohib Billah
- Mamunur Rashid
- Monjur Uddin
- popi Begum
- Zahid Rahman
- Akhi Akter
- Md. Abdul Alim
- Shiekh Rakin Ahmed
- Md Shihab Uddin
- Rakibul Islam
- Morshedul Arefin
- Shohag Alam
- Reja Kobir
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার কে?
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার কে তা বলা অসম্ভব৷ কারণ প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আয় রোজগার করে তাদের বেশিরভাগই অজানা কিন্তু বাংলাদেশের অনেক নামকরা ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যাদের সাকসেস রেট এবং পার আওয়ার অনুসারে খুব ভালো পজিশনে রয়েছে ৷ কিন্তু সব দিক থেকে লক্ষ্য করে দেখা যায় যে মোহাম্মদ রফিকুল আলম ভাই সব থেকে ভালো পজিশনে রয়েছে। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাছাড়া তিনি পাঁচ হাজারের অধিক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশে পুরস্কৃত করা হয় বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করছে।
ফ্রিল্যান্সিং -এর সুবিধা সমূহ
- কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা
- সময়ের স্বাধীনতা
- ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা
- নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারনের স্বাধীনতা
- নিজের পছন্দের কাজ করার স্বাধীনতা
- একই সময়ে কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করার স্বাধীনতা
ফ্রিল্যান্সিং -এর অসুবিধা
- প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগে
- সব মাসে সমান উপার্জন হয় না
- সামাজিক মর্যাদা
- অতিরিক্ত কাজের কারণে শারীরিক সমস্যা
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করতে ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে কাজ শিখলে টাকা ইনকাম করা যায় যা সম্পূর্ণরূপে একটি বানোয়াট কথা। আপনার নিজস্ব চেষ্টা না থাকলে আপনি কখনো ইনকাম করতে পারবেন না কিন্তু ট্রেনিং সেন্টার থেকে আপনাকে পরিপূর্ণ গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাছাড়া অনেকে মনে করি ক্যাপচা পূরণ, ফেক লাইক দেওয়া, ptc কিংবা ভিডিও দেখা ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ যা সম্পূর্ণরূপ একটি ভুল ধারণা। এগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর কোন শাখা-প্রশাখা নয় এগুলো কিছু ফালতু কাজসমূহের উদাহরণ। অনেকে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে দুই এক ঘন্টা করে কাজ করে আপনি সফল হতে পারবেন কিন্তু এটি কখনো সম্ভব নয় আপনাকে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য সহকারে প্রতিদিন 10 থেকে 12 ঘন্টা কাজ করতে হবে। তাছাড়া অনেকেই মনে করেন সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলেই আয় করা যায় যা খুবই একটি প্রচলিত ভুল কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলে ইনকাম করা যায় না। বরঞ্চ যে কোন ডিভাইস দিয়ে ইনকাম করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর অবদান ও গুরুত্ব
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা দেশের অর্থনীতিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে৷ বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের যে পরিমাণ আয় হয় তা সরকার রেমিটেন্স আকারে পায় ৷ বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের প্রায় প্রতি বছর 10 কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স আসে ফ্রীলান্সিং সেক্টর থেকে ৷
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সারের বয়স 25 বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ে এর জন্য আরো একটি প্লাস পয়েন্ট ৷পুরো বিশ্ব আজ ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজের মত সুবিধা আর অন্য কাজে নেই ৷ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দাম উর্ধ্বগতি হচ্ছে ব্যক্তিগণ চাকরির পাশাপাশি বাড়িতে ইনকামের দিকে ঝুকছে। যার ফলে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব থেকে শক্তিশালী রপ্তানিমূলক খাতের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী সেক্টর হবে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ সরকার নানারকম কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা দেশের জন্য যেমন রেমিটেন্স বয়ে আনছে তেমনি অন্য দিকে বাংলাদেশের সুনাম ও অর্জন করছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের সম্ভাবনা ২০২৩
ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সাড়ে চার কোটি যুবক এর 10 জনের মধ্যে প্রতি দুইজন বেকার ৷
কিন্তু তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষিত ৷এদিক থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের যে সংখ্যক তরুণ যুবক যুবতীর রয়েছে তাদের জন্য বেকারত্ব দূর করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে৷ ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক সেক্টর রয়েছে তারা সেগুলো তো কাজ করে একটি ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবে ৷
তাছাড়া তাদের বেকারত্ব দূর করার সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করবে ৷ বাংলাদেশের যে পরিমাণে জনসংখ্যা সেদিক থেকে লক্ষ্য করা যায় যে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করতে পারবে। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি খুবই সম্ভাবনামূলক দিক।
READ MORE
10 Best Banks in Bangladesh for Freelancers 2023
Best Domain And Web Hosting in Bangladesh 2022
How To Start Blogging in Bangladesh 2023
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত ২০২৩?
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বলা অসম্ভব কারণ বাংলাদেশে কোন লিখিত ডাটাবেজ নেই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ৷বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশী দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ ২০২১ সালের করোনা ভাইরাসের পর বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা আনুমানিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। (গ্লোবাল গিগ ইন্ডেক্স)
তবুও বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের প্রায় ১০ লাখের অধিক দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ৷ কিন্তু বাস্তব সংখ্যার সাথে কখনোই এ সংখ্যা হতে পারে না ৷ ফ্রিল্যান্সিং হল অনলাইনে মুক্ত পেশা অনেক কাজ রয়েছে যা অনুমান করা সম্ভব নয় ৷ ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছিল বাংলাদেশের সাড়ে ৬ লক্ষ এর বেশি ফ্রিল্যান্সার ছিল কিন্তু বর্তমানে তার অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে৷
কিন্তু বাংলাদেশের যে পরিমাণে ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে তা বলার রাখে না। তাছাড়া সরকার ফ্রিল্যান্সিং এর উদ্বুদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি একই
আউটসোসিং এবং ফ্রীলান্সিং বিষয়গুলোতে একই মনে হলেও সব ক্ষেত্রে এক নয় ৷ কারণ ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝানো হয় অনলাইনে মুক্ত পেশা যে কোন পেশার মাধ্যমে আপনি যে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন সেটাই ফ্রীলান্সিং আর আউটসোর্সিং হল আউট অর্থাৎ বাহিরে , সোর্সিং অর্থ আয় করা অর্থাৎ আউটসোর্সিং অর্থাৎ কাজের বাইরে আয় করা ৷ তবুও সবদিক পর্যালোচনা করে দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে একই রকম৷
আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এক নয় সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। গ্লোবাল গীগ ইনডেক্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, কাজের বাইরে অতিরিক্ত ইনকামের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দুই নাম্বারে যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গর্বের বিষয়।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান বিশ্বের অষ্টম তম ৷
ফেসবুক ব্যবহারে শীর্ষ দেশ কোনটি ২০২৩
ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি মাধ্যমে হচ্ছে ফেসবুক।আমাদের সমাজে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন ফেসবুক ব্যবহারে শীর্ষ দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই ধারণা সসম্পূর্ণভাবে ভুল কারন ২০১৯ সালের একটি জরিপ করা হয়। সে জরিপে ভালোভাবে বলা হয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিশ্বের ২.৯ বিলিয়ন ব্যাক্তি ফেসবুক ব্যবহার করে। যার শীর্ষ অবস্থান এ রয়েছে ভারত। ২য় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছ। নিম্নে ছকে দেওয়া হলঃ
- ভারত
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- ইন্দোনেশিয়া
- ব্রাজিল
- মেক্সিকো
- ফিলিপাইন
- ভিয়েতনাম
- থাইল্যান্ড
- মিশর
- বাংলাদেশ
- পাকিস্তান
- কলম্বিয়া
- যুক্তরাজ্য
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এর অবস্থান কত ?
২০২১ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খুব ভালো চলেছে। অন্যান্য দেশের মানুষেরা করোনাভাইরাসের কারনে আটকে থাকলেও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে আয়ের দিক থেকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ তম থাকলেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশের আবস্থান ৬ তম হবে বলে আশা করা যায়। ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশের মোট রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বেশি এটি সরকারি হিসাব কিন্তু বাস্তবে এর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে রেমিটেন্স এসেছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে। তাছাড়া বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা যে পরিমাণে অগ্রগতি করছে ২০২৩ সালে তা আরো বৃদ্ধি পাবে তার ঢাকা ইউনিভার্সিটির জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আউটসোর্সিং এ শীর্ষ দেশ কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং এর দিক থেকে সর্বদাই যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে থাকে অর্থাৎ আউটসোর্সিংয়ের শীর্ষ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ৷বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিক ফ্রিল্যান্সিং পেশাটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে ৷ এর মাধ্যমে তাদের নিজস্ব গুণাবলী প্রকাশের একটি মাধ্যম করে তুলেছে তারা ৷ তারপরে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত। বাংলাদেশ আর্টসোর্সিং এর দিক থেকে অন্যান্য সকল দেশের তুলনায় খুব ভালো পজিশনে রয়েছে। বাংলাদেশের পরে যথাক্রমে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, পোল্যান্ড, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, ফ্রান্স এবং রাশিয়া তাছাড়া আরো অনেক দেশ রয়েছে। কিন্তু এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে?
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট বিশাল। সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। তবুও ফ্রিল্যান্সিং সাইট এবং অন্যান্য অনেকে জরিপ থেকে দেখা যায় যে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন থেকে ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করা হয়। ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় বাজার সৃষ্টি হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ গুলো প্রতি বছর প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে যার মানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পুরো বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজ হওয়ার কারণে সহজেই ফ্রিল্যান্সিংকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে৷ ২০৩০ সালের বিশ্বে ২০ থেকে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি উপার্জিত টাকা নানাভাবে উত্তোলন করতে পারবেন। যার অন্যতম কয়েকটি মাধ্যম হলো পেওনিয়ার, ওয়ার ট্রান্সফার, সরাসরি ব্যাংকে এর মাধ্যমে। ওপরে উল্লিখিত মাধ্যমগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। freelancer রা মূলত পেওনিয়ার এর মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় টাকা উত্তোলন করে থাকে। তারপর পেওনিয়ার থেকে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে। তাছাড়া আরো আরো অনেক টাকা উত্তোলন করার পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলো নিয়ে পড়ে আলোচনা করা হবে আমাদের ব্লগের সাথেই থাকুন পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত
একজন ফ্রিল্যান্সার মাসিক ইনকাম তার কাজের উপর ডিপেন্ড করবে, সে যদি ভালো কোন সেক্টর তে কাজ করে তাহলে অবশ্যই তার মাসিক ইনকাম খুব বেশি হবে। বর্তমানে একজন ফ্রিল্যান্সার ইনকাম তুলনামূলক একজন কর্মজীবী মানুষের থেকে অনেক বেশি এটি নিঃসন্দেহে সবার জানা। বাংলাদেশে বেশিরভাগ বেশি ডিমান্ড এর কাজগুলো করে থাকে এই জন্য বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম তুলনামূলক অনেক বেশি, বিশেষ করে অনলাইন মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, এসইও করে থাকেন। তাদের প্রত্যেক জনের ইনকাম ঘন্টা প্রতি ২৫ ডলারের বেশি হয়ে থাকে আপওর্কের তথ্য অনুসারে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম ঘন্টা প্রতি ১০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে এভারেজে। তাছাড়া যারা ব্লগিং কিংবা ইউটিউবিং করে থাকে তাদের ইনকাম নির্ভর করে কত বছর থেকে তারা মার্কেটে রয়েছে। যারা অনেক পুরাতন তাদের ইনকাম অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে সম্ভবত ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত দৈনিক ইনকাম করতে পারে তারা।
মোট কথা হলো যারা ভালো স্কিল নিয়ে মার্কেটে কাজ করছে করছে তাদের ইনকাম খুব ভালো, অন্যদিকে যারা নতুন তাদের ইনকাম কম হয় কিন্তু সাধারণ কর্মজীবী মানুষের থেকে বেশি হয়ে থাকে। আর যারা ব্লগিং কিংবা ইউটিউবিং এর কাজ করছে তাদের ট্রাফিকের উপর। ব্লগার এবং ইউটিউবারের ইনকাম খুব ভালো পরিমানে হয় তা বলার রাখে না।
আউটসোর্সিং খোঁজার ওয়েবসাইট কোনটি
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে কোথায় আউটসোর্সিং এর কাজ খোঁজে পাওয়া যাবে। আপনারা ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো অনায়াসে খুজে পাবেন। সব ধরনের কাজ আপনারা সেখান থেকেই পেয়ে জাবেন। তাছাড়া আপনারা সাইটগুলো থেকে কি কাজ গুলো বেশি আছে সেগুলো দেখে স্কিল গড়তে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ?
বর্তমানে সব থেকে ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল ওয়েব ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিং । বর্তমানে এই সেক্টর টা থেকে বাংলাদেশীরা সব থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া ভবিষ্যতেও এই সেক্টরে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করবে। অবশ্য অনেক দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব ভালো এবং ডিমান্ডেবল সেক্টর হয়ে উঠেছে। এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটার, গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ অন্যান্য স্কিলগুলো সব থেকে ডিমান্ডেবল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাছাড়া আপনারা google এবং ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে আরো বিস্তারিত এবং জনপ্রিয় স্কিল গুলো যাচাই করে নিতে পারেন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয় ২০২৩
গড়ে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা প্রতি মাসে 10,000 টাকা থেকে 100,000 টাকার মধ্যে আয় করেন।
সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি ?
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন রকমের মার্কেটপ্লেস রয়েছে আমি উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি আপনারা চাইলে আবার ভালো করে পড়ে আসতে পারেন সবগুলো সাইটের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় দুটি সাইট আপওয়ার্ক এবং ফাইভার। তাছাড়া অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে আপনি আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে ভালোভাবে যুক্ত হতে পারবেন। তাছাড়া আপনি একসাথে সবগুলো তৈরি কাজ করতে পারবেন কোনরকম সমস্যা ছাড়াই।
ফ্রিল্যান্সিং এ নতুনদের জন্য সেরা জব কোনটি
একজন বিগিনার হিসেবে আপনাকে প্রথম দিকে সহজ কাজগুলো কাজগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কিন্তু আপনার যদি পরিপূর্ণ দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি সরাসরি আপনার পছন্দের কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিগিনারদের জন্য সবথেকে সহজ এবং সহজে ই করা যেতে পারে এমন কয়েকটি কাজ নিচে দেওয়া হল।
- কনটেন্ট রাইটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- ফটো এডিটর
- গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি
মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব
অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাটা মুশকিল হয়ে যায়। আপনি যখন বড় কাজ করতে যাবেন কিংবা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন তখন আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে। তাছাড়া ল্যাপটপ দিয়ে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়। মোবাইল দিয়ে বেশি সমস্যা সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টকর কিন্তু আপনি যদি সহজ কাজগুলো করতে চান যেমন কন্টেন্ট রাইটিং কিংবা ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো করতে চান তখন মোবাইল দিয়েই সম্ভব। তাছাড়া আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং, ব্লগিং সহ ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করতে পারবেন। আমি মোবাইল দিয়ে প্রথম দিকে কাজ শুরু করেছিলাম আপনারাও চাইলে করতে পারবেন পরবর্তীতে আপনার চাইলে ল্যাপটপ কিংবা পিসি অল্প টাকা দিয়েই ক্রয় ব্যবহার করতে পারবেন।
READ MORE
10 Best Banks in Bangladesh for Freelancers 2023
Best Domain And Web Hosting in Bangladesh 2023
How to buy domain with Bkash from Bangladesh
Best Skill for Freelancing For Beginners 2022
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে প্রায়ই জিজ্ঞেসিত প্রশ্নসমূহ
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা, আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন কাজ করতে পারবেন কারো অধীনে না থেকেই৷ আপনি আপনার পছন্দমত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন ঘরে বসে৷
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়
অবশ্যই মোবাইল ফোন করা যাবে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে৷ তুলনামূলক মোবাইলের থেকে ল্যাপটপ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা খুবই সহজ৷ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য এবং সময় ব্যয় করতে হবে৷
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান সারাবিশ্বে কততম?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বের মধ্যে অষ্টমতম৷ যা খুব শীঘ্রই আরো ভালো অবস্থানে যাবে তা আশা করা যায়৷ যে গতিতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে সেই হিসেবে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটবে৷
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল
আপনার কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং ডিপেন্ড করবে হালাল না হারাম৷ আপনি যদি সৎ ভাবেন কাজ করেন এবং অবৈধ কাজ না করেন তাহলে আপনি অবশ্যই হালাল ইনকাম করতে পারবেন৷ কিন্তু অনেকে রয়েছে অতিরিক্ত টাকার লোভ করে ভালো মন্দ না মেনে সকল প্রকার কাজে অংশগ্রহণ করে যেগুলো হারামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়৷ এজন্য যেকোনো কাজ করার পূর্বে অবশ্যই কাজটি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে৷
ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম দেশ কোনটি?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ শীর্ষ এবং প্রথম দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর তৈরি হওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় এক নাম্বারে থাকে৷ তারা নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে তা কারণ তারা অন্য কারো অধীনে কাজ না করে ফ্রিল্যান্সারটাকেই গুরুত্ব দিয়ে চলে৷
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এর অবস্থান কত ২০২২
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম তম ৷ গ্লোবাল গিগ ইনডেক্স ইনকামের দিক থেকে আলাদাভাবে কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ৷ কিন্তু আপওয়ার্ক এর ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সে বছর বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা ১০ কোটি ডলারের বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছিল upwork থেকে৷
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তিনি কাজ দেন তাকে কি বলা হয়?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যিনি কাজ করেন তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়৷ আর যিনি কাজ দেন তাকে বায়ার বলা হয়ে থাকে৷
ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পেওনিয়ার৷ পেওনিয়ার এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকেও সরাসরি আপনি আপনার উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে আনতে পারবেন৷ তাছাড়া অনেক ফ্রিল্যান্সার গন সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের উপার্জিত টাকা ট্রান্সফার করে থাকে৷ অনেকেই রয়েছে যারা বিটকয়েন কিংবা পারফেক্ট মানি, ওয়েব মানি কিংবা পেপালে উইথড্র করে থাকে৷
ফাইভারে সর্বনিম্ন কত ডলারের কাজের অর্ডার পাওয়া যায়
ফাইভার মার্কেটপ্লেস একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট সর্বনিম্ন আকারে রাখা হয়েছে৷ আপনি যে কোন কাজই করেন না কেন সবগুলো কাজ পাঁচ ডলারের উপরে হয়৷ ৫ ডলারের নিচে কোন কাজ নেই ফাইভারে কিন্তু আপনি চাইলে এর থেকেও বেশি আপনার মূল্য রাখতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত
আইসিটি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ছিল সাড়ে ছয় লাখের বেশি কিন্তু ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ব্যাপক উন্নতি হয়৷ বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি কিন্তু বাস্তব চিত্র এর থেকেও অনেক গুণ বেশি হতে পারে ৷
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তাদের আয়ের উপর সরকার কত শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে?
২০১৯ সালে সরকার ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার জন্য এবং তাদের রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা করে৷ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা এই প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ সরকার ৪% দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য৷
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর৷ ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে আবার অনেক ধরনের ভাগ রয়েছে৷ যার মধ্যে সবথেকে বেশি ইনকাম হয়ে থাকে এডভারটাইজিং কিংবা পিপিসি যার অর্থ পেইড পার ক্লিক তারপর রয়েছে যথাক্রমে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস৷ তাছাড়া ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি কাজগুলো মার্কেটপ্লেসে খুব বেশি পরিমাণে কাজ হয়৷
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবথেকে বড় মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক৷ আপওয়ার্কে প্রতি মাসে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন হয়ে থাকে৷ তারপরেই রয়েছে ফাইভার এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম৷
কোন দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
আপনি আপনার পছন্দমত যেকোন দক্ষতা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে যে কোন পেশা নিয়ে কাজ করতে পারবেন কাজ করার সময় লক্ষ্য রাখবেন আপনি কোন কাজে বেশি পারদর্শী৷ কারণ আপনি যে কাজ ভাল পারেন সে কাজ করে আপনি অন্যান্য কাজে তুলনায় বেশি ইনকাম করতে পারবেন৷
বাংলাদেশের টপ ফ্রিল্যান্সার কে
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার কে সেটা বলা মুশকিল কারণ কোন ফ্রিল্যান্সার তাদের পূর্ণাঙ্গ ইনকাম এবং পার্সোনাল তথ্য ইন্টারনেট এ শেয়ার করে না। কিন্তু সার্বিক বিবেচনা করে দেখা যায় মোহাম্মদ রফিকুল আলম ভাই সব থেকে বেশি ইনকাম এবং প্রজেক্ট শেষ করেছেন৷
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে খুব অগ্রগতি হচ্ছে৷ ২০১৯ সালের গ্লোবাল গিয়ে ইন্ডেক্সের প্রতিবেদন অনুসারে ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টমতম৷
ফ্রিল্যান্সাররা কত টাকা ইনকাম করে প্রতি মাসে
একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা ইনকাম করবে সেটা নির্ভর করেনি তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন অনুসারে৷ কিন্তু সার্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় ১০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে প্রতি মাসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা৷ এই ইনকাম কেউ আরও বেশি করতে পারে আবার কেউ এ থেকে কম করতে পারে এটা নির্দিষ্ট নয়৷
ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রতিদিন কত সময় লাগতে পারে
আপনি প্রতিদিন কত সময় ধরে করবেন এটা আপনার একান্ত নিজস্ব বিষয়৷ কিন্তু একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় ধরে কাজ করতে হবে৷ এটি আমার নিজস্ব মতামত৷ আপনি চাইলে এর থেকে বেশি করতে পারবেন এর থেকে কম ও করতে পারবেন এটা আপনার নিজের উপর ডিপেন্ড করছে৷
ক্লায়েন্ট কোথায় পাবো
আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার ক্লাইন্ট খুঁজে পাবেন যদি আপনি ভালো করে কাজ করেন৷ তাহলে বায়ার আপনাকে দিয়ে বারবার কাজ করাবে৷ তাছাড়া আপনি Linkedin থেকে ক্লায়েন্ট খুজে বের করতে পারবেন৷
ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান অবস্থা
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় এবং ইনকামের দিক থেকে এটি আরো অনেক অগ্রগতি করবে সেটা সবাই বুঝতে পারছে৷
READ MORE
10 Best Banks in Bangladesh for Freelancers 2023
Best Domain And Web Hosting in Bangladesh 2022
How to buy domain with Bkash from Bangladesh
Bangladesh Rank in Freelancing
How To Start Blogging in Bangladesh 2023